শিক্ষক নিয়োগের পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু বুধবার
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হতে যাচ্ছে বুধবার। ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদের পদভিত্তিক তালিকা ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী— এবার মোট ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬ এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদ রয়েছে।
আগামী ৯ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০০ টাকা। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত এই ফি পরিশোধ করা যাবে।
এনটিআরসিএ সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্যপদের পদভিত্তিক তালিকা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২টা থেকে আবেদন শুরু হবে।
আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে ৩৫ বছর বা তার চেয়ে কম হতে হবে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয়েছে, তারা কোনোভাবেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।
এছাড়া গণবিজ্ঞপ্তির শূন্যপদে আবেদন করতে সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী এনটিআরসিএর নিবন্ধন সনদধারী হতে হবে। এছাড়া কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন, তাহলে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে।
এমপিওভুক্ত প্রার্থীর একপর্যায়ের (স্কুল বা কলেজ) একাধিক নিবন্ধন সনদ থাকলে ওই প্রার্থী একই পর্যায়ে আবেদন করতে পারবেন না।
এছাড়া ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিপ্রত্যাশী আবেদনকারীকে অবশ্যই সেই ধর্মের অনুসারী হতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে নির্বাচন বাতিল করা হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া, ফি পরিশোধসহ বিস্তারিত নিয়মাবলী গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির যেকোনো শর্ত এবং প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি এনটিআরসিএ যেকোনো সময় সংযোজন, বিয়োজন ও পরিবর্তন এবং স্থগিত করতে পারবে।
একই সঙ্গে মামলা বা আইনগত অন্য কোনো জটিলতার কারণে অনলাইনে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কোনো পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না হলে এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন