ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখার প্রাকৃতিক ছয় উপায়
রাজধানীর বাতাস বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই তো ঘরে ঢুকেই মাস্ক-ক্যাপ খুলে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচি আমরা। কিন্তু কেবল বাইরের নয় ঘরের বাতাসও হতে পারে দূষিত। ভারতের হিলিং টাচ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মনোজ কে হুজার মতে, বিষাক্ত নিশ্বাস নেওয়ার ফলে ফুসকুড়ি, কাশি, চোখে জ্বালা ছাড়াও হাঁপানির মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।
ঘরের ভেতরের বিভিন্ন উপাদান এবং আসবাবপত্র রয়েছে যা বাইরের বাতাস এবং এরসাথে মিশ্রিত জীবাণু ধরে রাখে। যেমন: পাপোষ, সোফা ইত্যাদি। কিন্তু ঘরে ২৪ ঘণ্টা মাস্ক পরে থেকে দূষিত বাতাস মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। প্রাকৃতিক কিছু উপায়ের মাধ্যমে ঘরের ভেতরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখা সম্ভব।
যেভাবে বাতাস বিশুদ্ধ রাখবেন-
হাউসপ্ল্যান্ট
কিছু কিছু গাছ রয়েছে যেগুলো মাঝারি সূর্যের আলোতে পালিত হয়, এসব গাছ ঘরের ভ্যাপসা ভাব, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং সৌন্দর্যবর্ধনে সহায়তা করে। যেমন: বাটারফ্লাই পাম, গোল্ডেন পাম, ব্রডলিফ, পোথোস, ব্যাম্বো পাম ইত্যাদি।
কাঠকয়লা
বাতাস থেকে টক্সিন নির্মূল করার প্রাকৃতিক একটি উপায় হচ্ছে কাঠকয়লা। এটি গন্ধহীন ও শোষণকারী হওয়ায় বাতাস বিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে।
সল্ট ল্যাম্প
হিলিং টাচ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মনোজ কে হুজার মতে, সল্ট ল্যাম্প জলীয় বাষ্পকে বাইরে টেনে নেয়। ফলে বদ্ধ ঘরে শ্বাসকষ্ট, ত্বক জ্বালাপোড়া, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা ও জীবাণু হ্রাস করে। সল্ট ল্যাম্প আপনি আপনার টেবিলেও রাখতে পারেন। এটি ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। চালু থাকা অবস্থায় সল্ট ল্যাম্প বায়ু পরিশোধনের কাজ করে। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো এটি বন্ধ হয়ে গেলেও অনেক সময় ধরে বায়ু পরিশোধনের কাজ করে থাকে।
ক্যানডেল প্রজ্বলন
এক্ষেত্রে সাধারণ মোমবাতির ব্যাবহার পরিহার করতে হবে। বিসওয়াক্স ক্যানডেল ব্যাবহার করতে হবে। কারণ এটি জ্বালালে একপ্রকার সুগন্ধ নির্গত হয় এবং এটি ধূলিকণা থেকে সৃষ্ট অ্যাজমা সারাতে সহায়তা করে।
বায়ু বিশুদ্ধিকরণ তেল
দারুচিনি, ওরেগানো, রোজমেরি, থাইম, বাতাবিলেবু, লবঙ্গ ইত্যাদি ঘরে রাখলে ঘর ভাইরাস, ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া মুক্ত থাকে।
অভ্যন্তরীণ বায়ু চালাচল বৃদ্ধি
ঘরের মধ্যকার আর্দ্রতা কমাতে হবে। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে ভেন্টিলেশনের জন্য আউটার ফ্যান ব্যাবহার করতে হবে। রান্নাঘরের চুলা যেনো ঘরের আর্দ্রতা না বাড়াতে পারে সেজন্য চুলার ওপরে হিট সাকশন ব্যাবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ফলমূল ও শাকসবজি সংক্রমণ মুক্ত করার সহজ পদ্ধতি
জিএ
মন্তব্য করুন