ওজন কমানোর আদর্শ টনিক শসা

সৈয়দ সাবাব আলী আরজু

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭ , ০১:৩২ পিএম


ওজন কমানোর আদর্শ টনিক শসা

আপনি কী জানেন সারা বিশ্বে সবজি আবাদ হওয়ার দিক থেকে শসার অবস্থান কত নম্বরে? শুনে অবাক হবেন, শসার অবস্থান রয়েছে ৪ নম্বরে। খাদ্যে, রূপচর্চায় ও মেদ নিয়ন্ত্রণে এই সবজিটির রয়েছে বিশেষ জনপ্রিয়তা। আবার এই সবজিটি বেশ সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী। শসার হাজারো উপকারিতা থেকে ১ ডজন উপকারের কথাই জেনে নিন।

বিজ্ঞাপন

দেহের পানিশূন্যতা দূর করে : পথে-ঘাটে চলতে ফিরতে অনেক সময় পিপাসা লাগে। অথচ  আপনি এমন কোথাও আছেন যেখানে হাতের কাছে পানি নেই কিন্তু শসা আছে। বড়সড় একটা শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে। কারণ শসার মধ্যে রয়েছে ৯০ শতাংশ পানি।

দেহের ভেতর-বাইরের তাপ শোষক : আপনি হয়তো রোদে অনেকক্ষণ ধরে কাজ করছেন। সেজন্য শরীরের ভেতর-বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করছেন। দেহে একটু একটু জ্বালাপোড়াও অনুভব  করছেন। এ অবস্থায় একটি শসা খেলে আপনি অনেক স্বস্তি পাবেন। এ ছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যে নিশ্চিত ফল পাবেন।

বিজ্ঞাপন

বিষাক্ততা দূর করে : আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের কারণে দেহের মধ্যে বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাঁটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।

প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে : শসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে। আপনি থাকবেন সুস্থ তরতাজা।

ত্বকবান্ধব খনিজের সরবরাহকারী : শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ জন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

হজম ও ওজন হ্রাসে সহায়ক : স্থূল দেহের ওজন কমাতে শসা একটি আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করে। শসায় রয়েছে উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান। ফলে যারা ওজন কমাতে চান তারা স্যুপ ও সালাদে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

চোখের জ্যোতি বাড়ায় : সৌন্দর্য চর্চায় অনেকে শসা গোল গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন পরিষ্কার হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে। চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।

মাথাধরায় নিষ্কৃতি : অনেকের ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ধরে। শরীর ম্যাজম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকবে না।

চুল ও নখ সতেজ করে : চুল ও নখকে সতেজ এবং শক্তিশালী করে তুলতে শসার খনিজ সিলিকা অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

গ্যাটেবাত থেকে মুক্তি : শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গাঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে : ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলেস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

আরকে/ এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission