আম পাতার জাদুকরী সাত ওষধি গুণাগুণ
শীতের পরই আগমন হয় গ্রীষ্মের। প্রতিটি ঘরে থাকে ফলের রাজা আম। সকলেরেই পছন্দ এই ফলটি। আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। আমের মধ্যে যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনই এর পাতাতেও রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা।
ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সেডেন্ট ও খনিজ উপাদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে আম পাতায়। এই পাতায় থাকা মেঞ্জিফিরিন নামক একটি সক্রিয় উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এবার তাহলে আম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
বাত ব্যথা : অনেকে বাত ব্যথায় ভুগে থাকেন। এ ব্যথায় ভুগলে কচি আম পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিয়মিত সেই পানি পান করুন। নিয়মিত এভাবে পান করার ফলে ব্যথা দূর হবে।
ক্ষত নিরাময় : শরীরের কোনও অংশে যদি ক্ষত থাকে তাহলে সেই ক্ষত ঠিক করতে সাহায্য করবে আম পাতা। প্রথমে আম পাতা পুড়িয়ে ছাই করে নিতে হবে। তারপর শরীরের ক্ষত স্থানে সেই ছাই লাগান। নিজেই উপকার বুঝতে পারবেন।
কিডনি স্টোন : যারা কিডনি স্টোনের সমস্যায় ভুগছেন তারা আম পাতাকে চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আম পাতা ভালো করে শুকিয়ে তা গুঁড়ো করে নিন। প্রতিদিন সকালে এই গুঁড়ো এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খান। নিয়মিত খাওয়ার ফলে প্রস্রাবের সঙ্গে স্টোন শরীর থেকে বের হয়ে যাবে।
ডায়রিয়া প্রতিরোধ : আমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে দিনে দু-তিনবার খাওয়ার ফলে রক্ত ডায়রিয়া দূর হয়। নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্ত আমাশয় ঠেকাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই আম পাতা।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : প্রতিদিন এক কাপ করে আম পাতার চা খাওয়ার ফলে রক্তনালীকে প্রসারিত করার পাশাপাশি ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাই নিয়মিত আম পাতার চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ : আম পাতায় টেনিনস এবং অ্যান্থোসায়ানিন নামে দুটি উপাদান রয়েছে। এই উপাদান দুটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রতিদিন আম পাতার তৈরি চা খেতে হবে। নিয়মিত খাওয়ার ফলে কয়েকদিন পরই উপকার পাওয়া যাবে।
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা : সব ধরনের শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য আমের পাতা অনেক উপকারী। বিশেষ করে ঠাণ্ডা, ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্যও অনেক উপকারী। আমের পাতা সামান্য পানিতে সিদ্ধ করে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। নিয়মিত পান করার ফলে উপকারিতা পাবেন।
সূত্র: এনডিটিভি ও হেলথ লাইন
এসআর/এসএস
মন্তব্য করুন