সুস্থ থাকতে এসির তাপমাত্রা যত রাখবেন
বাহিরের তাপমাত্রায় অনেকেই রোজ এসি চালান। কিন্তু অনেকেই জানেন না, ঠিক কত তাপমাত্রায় এসি চালালে শরীর সুস্থ থাকবে। শরীর ভালো রাখতে এসির তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার নিচে কমানো উচিত নয়।
গরমের সময় কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এসি চালাবেন, এটা বলা যাবে না। তবে চেষ্টা করতে হবে বাইরের তাপমাত্রা যত রয়েছে, তার থেকে যেন এসির টেম্পারেচারের ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রির বেশি না হয়। অর্থাৎ দুপুরের দিকে যদি বাইরের তাপমাত্রা ৪০ থাকে, তাহলে আপনার এসি চালাতে হবে ২৭-২৮ ডিগ্রিতে। এই নিয়মটা মেনে চললেই কিন্তু বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রার একটা সামঞ্জস্য থাকবে। ফলে হুট করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে। এ সময় রাতে এসি চালাতে হলে মোটামুটি ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে চালান। তারপর স্লিপ মোড অন করে দিন। এই কাজটি করলে ধীরে ধীরে বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী এসি নিজের টেম্পারেচার ঠিক করে নেবে। ফলে ঘুমের মধ্যে আর ঠান্ডা লাগার ভয় থাকবে না। আর যাদের এসিতে স্লিপ মোড নেই, তারা ভোর বেলায় উঠে এসি বন্ধ করে পাখা চালিয়ে দিন। এই কাজটা করলেই কিন্তু সুস্থ থাকবেন।
শারীরিক সমস্যা থাকলে তাপমাত্রার আরও হেরফের হয়। এসি থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। সর্দি কাশি ছাড়াও ক্রনিক রোগের আশঙ্কা থাকে। তাই শোয়ার সময় এসির তাপমাত্রা নির্দিষ্ট একটি তাপমাত্রার থেকে কমানো উচিত নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শোয়ার সময় এসির তাপমাত্রা ৬৫-৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে থাকা ভালো। অর্থাৎ সেলসিয়াসের হিসেবে এটি ১৮ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রির মধ্যে। তবে এই তাপমাত্রা একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে প্রযোজ্য।
যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে রাখা উচিত।
সিওপিডি ছাড়াও অ্যাজমা রোগীদের জন্য ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আদর্শ।
এছাড়াও বাড়ির ছোট্ট সদস্য সর্দিকাশিতে ভুগলে তাকে ২৫-৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখুন।
এছাড়াও লক্ষ রাখতে হবে, এসি চলাকালীন গলা মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে কি না। তেমনটা হলে এসির তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিন।
মন্তব্য করুন