স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বসবাসযোগ্য ঢাকা নগরী গড়তে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং সেসব উদ্যোগের বাস্তবায়নও দৃশ্যমান। তবে ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে পরিবেশ শৃঙ্খলা জরুরি।
শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স কার্যালয়ের (বিআইপি) কনফারেন্স হলে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উপলক্ষে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ ও গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, অব্যবস্থাপনা ও দুর্বৃত্তায়ন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্তির ফলে পরিবেশ দূষণসহ দখলদারিত্বের সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হতে আমাদের সময় লাগছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসম্ভবকে সম্ভব করে যেভাবে দারিদ্র্যসীমা হ্রাস করেছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, এলডিসি উত্তীর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে, সেভাবে পরিবেশ দূষণও রোধ করব।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এবং নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ যৌথভাবে গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় ‘২৮ বছরে রাজধানীর জলাধার ও সবুজ নিধন বাস্তবতা ও উত্তরণের পথনকশা’ শিরোনামে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ না হলে ঢাকার নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে না। মানুষই পরিবেশের দূষণ করে এবং মানুষই পারে দূষণ প্রতিরোধ করতে। মুদ্রার যেমন এপিঠ-ওপিঠ উভয় দিকই রয়েছে, তেমনি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ইতিবাচক দিকের সঙ্গে সঙ্গে নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। সেই নেতিবাচক প্রভাবকে কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে যা অর্জন হয়েছে, তা অন্য কোনো সরকারের সময় হয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এমডিজি অর্জন করেছি, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নে কাজ করছি, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা মহাপরিকল্পনাও নিয়েছি। দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা শুধু বর্তমানের কথা চিন্তা করেননি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে অবিরাম কাজ করছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, অসংখ্য মানুষের চাপে যেকোনো ভালো পরিকল্পনা ও নাগরিক সুবিধা ভেঙে পড়তে বাধ্য। সীমার অতিরিক্ত মানুষ ঢাকায় বসবাস করাকে নিরুৎসাহিত করতে নানা নীতিমালা হাতে নেওয়ার সময় হয়েছে। সরকার সিভিল সোসাইটির সমালোচনা ও যেকোনো আন্দোলনকে সাধুবাদ জানায়। সামাজিক আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টার অসংখ্য উদাহরণ আমাদের দেশে রয়েছে।
গোলটেবিল আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিআইপি-এর সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান।