ঢাকাবুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে বিবৃতি

আরটিভি নিউজ

শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ , ০১:৫৮ এএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে বিবৃতি দিয়েছে সরকার। 

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সংখ্যালঘু ইস্যু সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফোরামে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।

বিবৃতিতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন, অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, কিছু বক্তা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তাকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি একজন মুসলিম আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পরেও আমাদের সরকারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ এবং সব ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন শান্তি বজায় রাখতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সহায়তা করেছে। আমাদের সরকার সতর্ক রয়েছে এবং যেকোনও মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার যেকোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে অবিলম্বে কাজ চালিয়ে যাবে। 

বিজ্ঞাপন

তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় সহিংসতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংসতার মূলে ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণ, সাম্প্রদায়িক নয়। ওই সহিংসতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট রাজনৈতিকভাবে অনুগত লোকদের প্রভাবিত করেছিল; তাদের প্রায় সবাই মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ছিল মাত্র কয়েকজন। সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও উদ্দেশ্যমূলক আক্রমণ হয়নি। বরং জুলাই মাসে গণআন্দোলনের পর আমাদের দীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুসরণ করে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশ তার সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছিল, তা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে আমাদের সরকার সব ধর্মের মানুষের কাছ থেকে অপ্রতিরোধ্য এবং অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করে যে, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে প্রত্যেক বাংলাদেশির নিজ নিজ ধর্ম পালন বা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল ভিত্তি। এটি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নেতাদের বারবার আশ্বস্ত করেছেন এবং সরকারের প্রথম ১০০ দিনে সেটি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দুজন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে। 

স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর প্রসঙ্গে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের জনগণ যখন ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবময় উদাহরণ স্থাপন করছিল, তখন আমরা সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে অতিরঞ্জিত, ভিত্তিহীন ও ভুয়া খবর এবং স্বার্থান্বেষী মহলের ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া লক্ষ্য করেছি। আমরা এই ফোরামেও এটি দেখেছি। এই ধরনের অনেক অপপ্রচারকে বৈশ্বিক গণমাধ্যম উড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সরকার বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসা বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। 

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/কেএইচ/এএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |