ঢাকাবৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শবেবরাতের নামাজের ফজিলত ও নিয়ম

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১ , ০৭:৫২ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

আজ পবিত্র শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত। শবে বরাত কথাটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে। শব মানে রাত, বরাত মানে মুক্তি। অর্থ্যাৎ মুক্তির রাত। এ রাতে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করতে ইবাদতে মশগুল থাকেন।

বিজ্ঞাপন

মহানবী মোহাম্মদ (সা.) এ রজনী সম্পর্কে বলেছেন, এই রাতে ইবাদতকারীদের গুণাহ আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবল আল্লাহর সঙ্গে শিরককারী, সুদখোর, গণক, যাদুকর, কৃপণ, শরাবী, যিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)। ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ; সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ। প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য নতুন অজু করা মোস্তাহাব। বিশেষ ইবাদতের জন্য গোসল করাও মোস্তাহাব।

বিজ্ঞাপন

শবে বরাতের নামাজ

এদিন মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ৬ রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম।

এশার জামাতের পর সারারাত দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করা যায়। আর জীবনে কাজা হয়ে যাওয়া নামাজগুলো আদায়ের সুযোগ রয়েছে এই রাতে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও পড়তে পারেন ‘সালাতুল তাসবীহ এর নামাজ। এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন নামাজ হলো উত্তম ইবাদত। 

বিজ্ঞাপন

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে শাবানে ১ দিন রোজা রেখেছে, তাকে আমার সাফায়াত হবে। আরো একটি হাদিস শরীফে আছে যে, হুজুর সালল্লাহু তালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি শাবানের ১৫ তারিখে রোজা রাখবে, তাকে জাহান্নামের আগুন ছোঁবে না।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।

এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |