বইমেলায় ইশিতা জেরীনের উপন্যাস ‘বেণুবনচ্ছায়াঘন সন্ধ্যা’
অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ এ লেখক ইশিতা জেরীনের উপন্যাস ‘বেণুবনচ্ছায়াঘন সন্ধ্যা’ প্রকাশিত হয়েছে।
জ্ঞানকোষ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত উপন্যাসটি বইমেলার ১২ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া অনলাইনে রকমারিতে পাওয়া যাবে। বইটির প্রকাশক শাহীন হাসান তরফদার আর প্রচ্ছদ এঁকেছেন জুলিয়ান।
ফ্ল্যাপ থেকে: রাত তিনটা দশ মিনিটে তাওহীদ সাহেব হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে হসপিটাল এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তার কিছুক্ষণ আগে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে প্রতীতি মারা গেলেন। এর দশ বারো মিনিট আগে হঠাৎ করে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলো। ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলশান শুরু হলো। তৎক্ষনাৎ চেইন অব সারভাইভাল শুরু করা হলো। তাকে বাঁচাতে ডাক্তাররা তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করলেন কিন্তু কোন লাভ হলো না।
চেতনা হারাবার ঠিক আগের মুহূর্তে প্রতীতি অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিতে নিজের চারপাশে বারবার তাকাতে লাগলেন। হয়তো স্বামীকে, মেয়েকে খুঁজছিলেন। মৃত্যুর মুহূর্তেও হয়তো তিনি আশা করে ছিলেন তিনি যেভাবে চেয়েছেন সত্যিই ঠিক সেভাবে সবকিছু হবে। মৃত্যুর সময় প্রিয় মানুষেরা তাঁর পাশেই থাকবে। তাদের মুখ দেখতে দেখতে, স্বামীর কোলে মাথা রেখে নিজের কপালে তাঁর হাত রেখে তিনি মরবেন। ইনিত্রিয়া পুরোটা সময় দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে হল্টার মনিটরের দিকে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। এক সময় হৃদস্পন্দনের চিহ্ন শূন্য হয়ে গেল। তখনো তার চোখের পলক পড়লো না, কেবল এক ফোঁটা অশ্রু তার চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়লো।
লেখক ইশিতা জেরীনের জন্ম ১০ মার্চ, ১৯৮৯; প্রবীণা পদ্মার জঠর প্রসূত প্রাচীন বরেন্দ্রভূমি-রাজশাহী নগরীর ক্রোড়ে। পড়ালেখা করেছেন তথ্যপ্রযুক্তিতে। বর্তমানে সাহিত্যচর্চায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। পাশাপাশি মনোনিবেশ করেছেন অনুবাদকর্মের প্রতিও।
লেখকের প্রকাশিত অন্যান্য বই- নিঃস্বর নীলকণ্ঠ (২০১৭); কালপারাবার (২০১৮); তন্দ্রা ও তমিস্রার কাব্য (২০১৮); গোধূলিসন্ধির নৃত্য (২০১৯); স্বপ্নকূট ও স্বপ্নকীট (২০২০); বসন্তের মাতাল সমীরণে (২০২৩)। লেখকের প্রথম সম্পাদিত গল্পগ্রন্থ ‘গল্পকথার কল্পতরু’ প্রকাশিত হয়েছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এ।
এছাড়া অনুবাদ করেছেন সামার, ফায়ারওয়ার্কস অ্যান্ড মাই করপস; অ্যানাদার ভলিউম ১; অ্যাস্লিপ; কিচেন; হার্ডবয়েল্ড অ্যান্ড হার্ড লাক; ডেড-এন্ড মোমোরিজ।
মন্তব্য করুন