চুয়েট-রুয়েট-কুয়েটে ভর্তি কার্যক্রম ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস স্থগিত
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া ও ওরিয়েন্টেশন স্থগিত করা হয়েছে। প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবাসইটে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, অনিবার্য কারণে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ ও ১৫ জুলাই নির্ধারিত ভর্তি প্রক্রিয়ার চতুর্থ ধাপও অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। ভর্তি প্রক্রিয়া ও ওরিয়েন্টেশনের নতুন তারিখ পরবর্তীতে ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট সাড়ে তিন হাজার আসন রয়েছে। এরমধ্যে এখনো প্রায় ৭০০ আসন ফাঁকা।
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা যেভাবে হবে
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন এবং বার্ষিক পরীক্ষা পরিমার্জিত মূল্যায়ন নির্দেশনার আলোকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার বিশেষায়িত বিষয়গুলোর এবং দশম শ্রেণির মূল্যায়ন কার্যক্রম আগের ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হবে। শিখনকালীন মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশিকায় এ তথ্য জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
এতে বলা হয়েছে, এনসিটিবি থেকে পাঠানো চিঠির আলোকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য সাধারণ নির্দেশনা ও বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনায় দেওয়া সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি এবং নমুনা প্রশ্নপত্র ও মানবণ্টন ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
গত কয়েক মাসের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শ্রেণি কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে এবং শিক্ষাবর্ষের অবশিষ্ট সময়ে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষের শিখন কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হবে না বলে শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং অভিভাবকমহল থেকে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের যতটুকু অংশ সম্পন্ন করতে পারবে, তার ভিত্তিতে নমুনা প্রশ্নপত্রের আলোকে প্রশ্নপত্র তৈরি করে বার্ষিক পরীক্ষা নিতে পারবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে আগে এক চিঠিতে এই সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি বা সিলেবাস যথাসম্ভব সম্পন্ন করে পরীক্ষা গ্রহণ করার বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় নেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ বিষয়ের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আরটিভি/এমএ/এসএ
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা চার ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)।
সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের কনসোর্টিয়াম কর্তৃক শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টা থেকে পরদিন রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট চার ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবলের লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এ সময় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার স্টেশন থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট-সেবা বিঘ্ন ঘটতে পারে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
আরটিভি/এসএপি
আগামী ৭ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে জানাল অফিস
মৌসুমি বায়ু দেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে আগামী তিন দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ভারী বৃষ্টি হতে পারে পারে। একই সঙ্গে বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটি জানায়, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়: রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এই সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরটিভি/এসএপি
আজ পৃথিবী থেকে দেখা যাবে দুটি চাঁদ
মহাকাশে ঘটতে চলেছে এক বিরল ঘটনা। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণশক্তির টানে অনেক দূর থেকে ছুটে এসেছে চাঁদের মতোই আরও এক উপগ্রহ। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিনি মুন’। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরবে এই ‘মিনি মুন’। এটি আদতে একটি ছোট গ্রহাণু। বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুটির নাম দিয়েছেন ‘২০২৪ পিটি৫’। এটি চাঁদের মতো একেবারে স্থায়ী উপগ্রহ নয়, বরং এটি কিছুদিনের পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে আটকে থাকবে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত নতুন এই চাঁদকে দেখা যাবে। তবে ‘মিনি মুন’ এতই ছোট এবং আবছা যে খালি চোখে একে দেখা যাবে না। এটি দেখার জন্য পেশাদার সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে। দুরবিন বা হোম টেলিস্কোপেও চোখে ধরা দেবে না এই চাঁদ। কমপক্ষে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা যাবে।
পৃথিবীর আকাশে দ্বিতীয় চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্লোস মার্কোস বলেন, অর্জুন গ্রহাণু বেল্টে থাকা গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে সর্বনিম্ন ২৮ লাখ মাইল দূরত্বে আসতে পারে। এ অবস্থায় ভূকেন্দ্রিক শক্তি দুর্বল হয়ে গ্রহাণুটি পৃথিবীর একটি অস্থায়ী চাঁদে পরিণত হতে পারে। যদিও গ্রহাণুটি পৃথিবীর চারপাশে একটি সম্পূর্ণ কক্ষপথ অনুসরণ করবে না। অনেকটা জানালায় উঁকি দেওয়ার মতো করে চলে যাবে গ্রহাণুটি।
নতুন এই ক্ষুদ্র চাঁদকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মিনি-মুন ইভেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের মতে, ‘স্বল্প সময়ের জন্য এ ধরনের গ্রহাণু আমাদের পৃথিবীকে আবর্তন করতে পারে। যেকোনো গ্রহাণুকে মিনি-মুন হওয়ার জন্য পৃথিবীর প্রায় ২৮ লাখ মাইলের কাছাকাছি আসতে হবে। এ অবস্থায় বস্তুটি অস্থায়ীভাবে পৃথিবীর আকর্ষণে আবদ্ধ হয়ে যায়।
চলতি বছরের ৭ আগস্ট গ্রহাণুটি আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এটি পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময়ে, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা প্রভাবিত হবে। কক্ষপথে ঢুকে প্রদক্ষিণও করবে দুই মাস ধরে। অর্থাৎ পৃথিবীর দুই নম্বর উপগ্রহ সাময়িকভাবে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরবে। ২৫ নভেম্বরের পরে, এটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ থেকে বেরিয়ে আসবে এবং তারপরে আবার নিজেই কক্ষপথে চলে যাবে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, দুই মাসের জন্য এই গ্রহাণু যে শুধু পৃথিবীর উপগ্রহ হয়েই ঘুরবে তা কিন্তু নয়, বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বিশেষ সাহায্য করবে এটি। এর দ্বারা তৈরি চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে অনেক নতুন নতুন তথ্যও জানতে পারা যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
তথ্যসূত্র: স্পেস ডটকম
আরটিভি/এফআই
মনিটাইজেশন আরও সহজ করছে ফেসবুক
ফেসবুক হলো মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। ব্যবহারকারীরা বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন। সেইসঙ্গে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।
এ ছাড়া ফেসবুকে পেজ খুলে অনেকেই ব্যবসা করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারছেন ঘরে বসেই। আবার অনেকেই ফেসবুকে ভিডিও বা বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে আয় করে থাকেন। তবে কনটেন্ট বা ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে আয় করতে হলে ভিন্ন ভিন্ন শর্ত রয়েছে। যা ভাঙলে আয় করা সহজ হয়ে উঠে না। তাই এবার ভিডিও নির্মাতাদের জন্য নতুন কিছু পরিবর্তন আনছে ফেসবুক।
সম্প্রতি দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে, তিন পদ্ধতিতে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়। সেগুলো হচ্ছে ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস। তবে এসব ব্যবস্থার পরিবর্তন আনছে ফেসবুক। কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আয়ের পথ আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করে তুলবে এ পরিবর্তন।
জানা গেছে, নতুন ব্যবস্থায় ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিল অ্যাডস, এবং পারফরম্যান্স বোনাসকে একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে। তবে নতুন এ মনিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালু হলে ভিডিও নির্মাতাদের আবেদন করে অনবোর্ডিং প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে হবে। এরপরই ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস এ তিন পদ্ধতিতে আয় করা যাবে। ফলে বারবার আবেদন করতে হবে না।
২০২৫ সালে সবার জন্য নতুন এই মনিটাইজেশন মডেলটি উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র আমন্ত্রিত ক্রিয়েটরদের জন্য বিটা ভার্সনে চালু করা হয়েছে। বিটা ভার্সনের অংশ হিসেবে এক মিলিয়ন ক্রিয়েটর এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
আরটিভি/এসএপি
বিশ্বের দরিদ্রতম ১০ দেশের তালিকা প্রকাশ
মাথাপিছু জিডিপির (পিপিপি) ভিত্তিতে ফোর্বস ইন্ডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্রতম ১০টি দেশের তালিকা দিয়েছে। যার বেশির ভাগই আফ্রিকা মহাদেশের।
ফোর্বস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের হিসাব থেকে এ তালিকা তৈরি করেছে।
এ তালিকায় প্রথমেই রয়েছে সুদানের নাম। সুদানের মাথাপিছু জিডিপি ৪৫৫ দশমিক ১৬ মার্কিন ডলার।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বুরুন্ডি। এই দেশের মাথাপিছু জিডিপি ৯১৫ দশমিক ৮৮ মার্কিন ডলার।
তৃতীয় দরিদ্রতম দেশটি হচ্ছে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার।
আর চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৫৫০ মার্কিন ডলার।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৬৫০ মার্কিন ডলার।
এর পরের অবস্থানটি নাইজারের। আফ্রিকার এই দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৬৭০ মার্কিন ডলার।
তালিতায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ মালাউই। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৭১০ মার্কিন ডলার।
আর অষ্টম অবস্থানে রয়েছে লাইবেরিয়া। আফ্রিকার এই দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার।
নবম অবস্থানে রয়েছে মাদাগাস্কার। এই দেশটিও আফ্রিকার। এর মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৯৮০ মার্কিন ডলার।
আর দশম অবস্থানে রয়েছে পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইয়েমেন। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ২ হাজার মার্কিন ডলার।
আরটিভি/এফআই
খাটাশ বিড়াল ও হাতির মল থেকে যেভাবে তৈরি হয় বিশ্বের দামি কফি
আপনি কি জানেন, যে কফি খেয়ে আপনি ক্লান্তি দূর করেন, সেই কফি আসলে বিড়াল কিংবা হাতির মল থেকে তৈরি হতে পারে? শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। কফির জগতে এমন দুটি অসাধারণ প্রক্রিয়ায় তৈরি কফি রয়েছে, যা শুধু স্বাদে নয় বরং এর উৎপাদন প্রক্রিয়ায়ই লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত পদ্ধতি। এমন দুটি কফি হলো কপি লুয়াক ও ব্ল্যাক আিইভোরি কফি; যা বিশ্বের অন্যতম দামি ও অনন্য কফি হিসেবেও বিবেচিত।
প্রথমে আসি কপি লুয়াকের কথায়। এই কফি ইন্দোনেশিয়ার সিভেট ক্যাট বা খাটাশ বিড়ালের মল থেকে তৈরি হয়। কিন্তু ভাবছেন তা আবার কীভাবে? ইন্দোনেশিয়ার মুসাঙ্গ বা খাটাশ জাতের এই বিড়ালরা মূলত বাগানে পাকা কফি খায়। এই কফি চেরির গায়ে থাকে মিষ্টি মাংসল অংশ, যা বিড়ালদের খুব প্রিয় খাবার। চেরি বীজ, যা আমরা কফি বীজ হিসেবে জানি। তা কিন্তু খাটাশ জাতের বিড়ালের পেটে হজম হতে পারে না। তাই সেটি পেটের ভেতর প্রাকৃতিকভাবে অক্ষত থাকে এবং মল আকারে বেরিয়ে আসে।
এই বীজ খাটাশের পেটের হজম প্রক্রিয়া কফির তিক্ততা কমিয়ে তৈরি করে এক মোলায়েম স্বাদ। আর যখন এই প্রাণি মলত্যাগ করে, তখন সেই মলের মধ্যে থাকা কফি বীজগুলো সংগ্রহ করে একত্র করা হয়। এসব বীজ পরিষ্কার করে সূক্ষ্মভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এই ধাপের পর কফি বীজগুলো শুকিয়ে ভাজা হয়, যা কফির স্বাদকে আরও উন্নত করে। আর এভাবে তৈরি হয় কপি লুয়াক, যা কফিপ্রেমীদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
প্রায় একই প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় ব্ল্যাক আিইভোরি কফি। তবে এটি বিড়াল নয়, মূলত থাইল্যান্ডে হাতির মল থেকে তৈরি হয়। হাতিরা যখন পাকা কফি চেরি খায়, তখন সেই চেরিগুলোও তাদের হজম প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। হাতির হজম প্রক্রিয়া কফির প্রোটিন ভেঙে দেয়, যার ফলে কফির তিক্ততা কমে স্বাদ হয় আরও মোলায়েম।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রাণীদের মল থেকে তৈরি এসব কফির দাম এত বেশি কেন? কারণ এই প্রক্রিয়াগুলো অত্যন্ত শ্রমসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। কস্তুরি বিড়াল ও হাতির হজম প্রক্রিয়া কফির স্বাদকে এমনভাবে পরিবর্তন করে, যা অন্য কোনো পদ্ধতিতে সম্ভব নয়। এ ছাড়া,বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সীমিত পরিমাণে এই কফিগুলো তৈরি করা যায়, যার ফলে এর দাম অত্যন্ত বেশি।
ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও কপি লুয়াক এর উৎপাদন হচ্ছে ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামে। আর ব্ল্যাক আিইভোরি কফি শুধুমাত্র থাইল্যান্ডে তৈরি হয়। যা বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফির একটি হিসেবে স্বীকৃত। এ কফিগুলো শুধু কফি নয়, বরং একটি অভিজ্ঞতা। কস্তুরি বিড়াল ও হাতির হজম প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া প্রতিটি কফির কাপ যেন একেকটি গল্প বলে। পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত ও মূল্যবান কফির মধ্যে এই দুইটি কফি নিশ্চিতভাবেই আপনার কফি অভিজ্ঞতাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে।