ঢাকাবুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া ও আমল

আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ , ০৯:৫৮ এএম


loading/img
ফাইল ছবি

প্রতিটি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হয়ে থাকে। কোনো বিষয়কে কেউ ভালো দৃষ্টি বা সুনজরে দেখে আবার কেউ হিংসাত্মক দৃষ্টিতে একই বিষয়টিকে দেখে থাকেন। এমন হিংসাত্মক দৃষ্টি বা কুদৃষ্টিকে বদনজর বলা হয়। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উম্মতদের বদনজর সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে রাসুল (সা.) বলেছেন, বদনজর লাগা একটি সত্য ব্যাপার। 

বিজ্ঞাপন

পবিত্র কুরআনে এ বিষয়ে ইরশাদ হয়েছে, কাফিররা যখন কুরআন শুনে তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দিয়ে তোমাকে আছড়ে ফেলবে। আর তারা বলে, সে তো অবশ্যই পাগল। (সুরা কলম, আয়াত: ৫১)

অর্থাৎ মানুষের কুদৃষ্টি আসলেই প্রভাব ফেলে। তাই নিজেকে এবং নিজের সন্তান-সন্ততি ও সম্পদকে মন্দ লোকের কুদৃষ্টির আড়ালে রাখার চেষ্টা করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা মহান আল্লাহর কাছে মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় চাইতে হবে।

বিজ্ঞাপন

অনেক সময় বদনজরের প্রভাবে কোমলমতি শিশুদেরও বিভিন্ন রকম রোগব্যাধি দেখা দেয়।

হাদিসে বদনজর থেকে বাঁচতে ঝাঁড়ফুকের পাশাপাশি দোয়ার কথাও এসেছে। আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার জিবরাঈল (আ.) রাসুল (সা.) এর কাছে এসে বলেন, হে মুহাম্মাদ (সা.)। আপনি কি রোগাক্রান্ত হয়েছেন? জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, হ্যাঁ। পরে জিবরাঈল (আ.) নিচের দোয়াটি পড়েন।

بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيْكَ وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أوْ عَيْنٍ حاَسِدٍ اللهُ يَشْفِيْكَ بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ

বিজ্ঞাপন
Advertisement

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আরক্বিকা মিন কুল্লি শাইয়িন ইউয়ুজিকা ওয়া মিন সাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসাদিল্লাহু ইয়াশফিকা বিসমিল্লাহি আরক্বিকা।

অর্থ: আমি আল্লাহর নামে এমন প্রতিটি জিনিস থেকে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি যা আপনাকে কষ্ট দেয়, প্রতিটি সৃষ্টিজীবের এবং প্রতিটি চোখের এবং প্রতিটি হিংসুকের অনিষ্ট থেকে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। আমি আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। (ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৩৫২৩)

বদনজরের কুরআনি আমল

বদজনজর এড়াতে নিয়মিত কুরআনি এ আমলগুলো করা যেতে পারে। নিয়মিত কুরআনি আমলে আল্লাহ তাআলা বদনজর থেকে মুক্ত করবেন। আর তাহলো-
> সুরা ফাতিহা পড়া
> আয়াতুল কুরসি পড়া (সুরা বাকারা, আয়াত ২৫৫)
> সুরা বাকারার শেষের দুই আয়াত (২৮৫ ও ২৮৬)
> সুরা ইখলাস পড়া
> সুরা ফালাক্ব পড়া। এবং
> সুরা নাস পড়া।

আরটিভি/একে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |