• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১
logo

রজব মাস থেকেই যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি

ধর্ম ডেস্ক

  ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:২২
রজব
ছবি: সংগৃহীত

আরবি সপ্তম মাস হলো রজব। মাসটির পূর্ণ নাম হলো আর রজবুল মুরাজ্জাব। রজব অর্থ প্রাচুর্যময় আর মুরাজ্জাব অর্থ সম্মানিত। আর রজবুল মুরাজ্জাব মানে হলো প্রাচুর্যময় সম্মানিত মাস। রজব মাস রমজানের আগমনী বার্তা বহন করে। তাই তো রজব মাস থেকেই রমজান মাসকে স্মরণ ও প্রস্তুতি নিতে শুরু করতেন রাসুল (সা.)।

রজব মাসে থেকেই যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি

সপ্তাহের দুই দিনের রোজা

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপ্তাহের দুই দিন সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। তাই রজব মাস থেকেই সপ্তাহে দুটি রোজা রেখে রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে।

হজরত আবু কাতাদা আনসারি রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সোমবার দিনে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এই দিন আমি জন্ম নিয়েছি, আর এদিনই আমার উপর কোরআন নাজিল হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস, ২৮০৭; ইবনে খুজাইমা, হাদিস, ২১১৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস, ২২৫৫০; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস, ২৪২৮)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর কাছে আমল উপস্থাপন করা হয়। তাই রোজা থাকা অবস্থায় আমার আমল উপস্থাপন করা হোক— এটা পছন্দ করি।’ (তিরমিজি, হাদিস, ৭৪৭; সুনানে নাসায়ি, হাদিস, ২৬৬৭)

রাবিআ ইবনুল গাজ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি আয়শা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর কাছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোজা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। তখন তিনি জবাবে বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখার ব্যাপারে খুবই মনোযোগী ছিলেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস, ১৭৩৯; ইবনে হিব্বান, হাদিস, ৩৬৪৩)

আইয়ামে বিজের রোজা

আইয়াম হলো আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো দিনগুলো। আর বিজ শব্দের অর্থ সাদা বা শুভ্র। আইয়ামে বিজ দ্বারা চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ বোঝানো হয়। এই তারিখগুলোতে জ্যোৎস্নায় রাতগুলো শুভ্র ও আলোকিত হয়। বিশেষত মরুভূমিতে এটি বেশি দৃষ্টিগোচর হয়। তাই দিনগুলোকে একসঙ্গে বোঝাতে ‘আইয়ামে বিজ’ নামকরণ করা হয়।

রাসুল সা. আইয়ামে বিজের রোজা রেখেছেন ও সাহাবিদের রোজাগুলো রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। হজরত আবু যার রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা বলেন, হে আবু যার! যখন তুমি মাসের মধ্যে তিন দিন রোজা রাখবে; তবে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখবে।’(তিরমিজি, নাসাঈ, মিশকাত)

আইয়ামে বিজের রোজা রাখা সম্ভব না হলে মাসের যেকোন তারিখে রাখা যেতে পারে। এ বিষয়ে আয়েশা রা. বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসের যেকোন দিনে তিনটি সিয়াম রাখতেন। (মুসলিম হা/২৮০১; মিশকাত হা/২০৪৬)

আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স (রা.) হতে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা পালন, সারা বছর ধরে রোজা পালনের সমান’। (বুখারি শরীফ)

রজব মাসের দোয়া

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলেই রমজানের প্রস্তুতিমূলক কিছু বিশেষ আমল শুরু করতেন। এর মধ্যে রয়েছে এই দোয়াটি

اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ وَبلغنا رَمَضَانَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দিন। আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ ( সুনানে নাসায়ি ও মুসনাদে আহমাদ)।

আরটিভি/এফএ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রজব মাসের ফজিলত ও দোয়া
রমজানে রাজধানীর ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে ডিম-মুরগি বেচবে বিপিএ
রজব মাসের ফজিলত ও আমল
রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ