জগন্নাথে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আরও এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাণিক মুনসী।
বুধবার (৩ এপ্রিল) উপাচার্য সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে সিন্ডিকেট সভার সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আইনুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমে জানান। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক মাণিক মুনসীকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাণিক মুনসীকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রথমে ওই শিক্ষকের কাছে কাউন্সেলিং ও বিভিন্ন পরামর্শের আসলে তিনি ছাত্রীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীকে বিয়ের কথা বলে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে গণিত বিভাগ অভিযুক্ত শিক্ষককে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। সেই সঙ্গে বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানানো হয়।
উপাচার্যকে বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ওই শিক্ষকের নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ অবস্থায় এক ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। বিষয়টি বিভাগের অন্য এক শিক্ষকের নজরে আসে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই ছাত্রী বিয়ে করতে বললে অভিযুক্ত শিক্ষক আপত্তি জানান। পরে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী। ওই শিক্ষক তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে বলেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে জানিয়েছিলেন।
এদিকে বুধবারের সভায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তার জবাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সভার সদস্যরা।
মন্তব্য করুন