• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

'বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন জিয়া, তিনি খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন'

আরটিভি নিউজ

  ১৪ আগস্ট ২০২০, ১১:১৫
Speakers at the discussion meeting
আলোচনা সভায় বক্তারা

পাকিস্তানি এজেন্ট জিয়াউর রহমান কখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না। বরং স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার রাষ্ট্রে ফিরিয়ে নিতে নেপথ্যে থেকে যেমন ষড়যন্ত্র করেছে, ঠিক তেমনই সরাসরি নিজেও ষড়যন্ত্র করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভার আলোচকরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে '১৫ই আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড: নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় উপস্থাপনা করেন আওয়ামী লীগের টানা দ্বিতীয় মেয়াদে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব থাকা দেলোয়ার হোসেন।

আলোচনা সভার স্লোগান ছিল- আসুন আইনের শাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিবেকবোধ জাগ্রত করি। বঙ্গবন্ধু’সহ পনেরই আগস্টের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করি।

আলোচনায় আওয়ামী লীগের তিনবারের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং বঙ্গবন্ধুর সরকারকে উৎখাতের জন্য যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদেরকে জিয়াউর রহমান সব সময় উৎসাহ দিয়েছে, মদদ দিয়েছে। পঁচাত্তরের আত্মস্বীকৃত খুনিরা পরবর্তীতে নানা সময়ে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জিয়াউর রহমান তাদের সব সময় বলেছেন, 'তোমরা যদি কিছু করতে পারো করো, আমি আছি; তবে ব্যর্থ হলে আমার নামটা নিও না'।

তিনি আরও বলেন, এভাবে নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের উৎসাহ দিয়েছে এবং নিজেও ষড়যন্ত্র করেছেন জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং নেপথ্যে থেকে কাজ করেছে, এটা দিবালোকের মতো সত্য।

হানিফ অভিযোগ করেন, জিয়াউর রহমান ৭৫'র হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি খুনিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন এবং পুরস্কৃত করেছে। জিয়াউর রহমান যদি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকতো, তাহলে খুনিরা পুরস্কৃত হতো না; রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেত না।

জিয়াউর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেন, কিন্তু ইতিহাসের কোথাও আমরা পাই নাই- তিনি রণাঙ্গনে কোনও সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের একজন এজেন্ট। এটা তিনি তার কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছে বলে অভিযোগ করেন হানিফ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ভারত জুজু ভীতি দেখিয়ে একটি রাজনীতি শুরু হয়। এ সংকটটা ছিল প্রকট এবং বিরাট। এর নেপথ্যের নায়ক হিসেবে জিয়াউর রহমান ষড়যন্ত্রটা পাকাপোক্ত করেন। সেসময় মুক্তিযুদ্ধের শক্তির ভেতরেও ছিল একটি বিভেদ। জাতির পিতাকে হত্যায় সেটা কেউ কাজে লাগানো হয়েছে। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়। এটা পাকিস্তান বানানোর একটি ষড়যন্ত্র। সেই থেকে দীর্ঘ ২১ বছর এ ষড়যন্ত্র চলেছে।

আলোচনা সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, লেখক ও সাংবাদিক আবেদ খান, ভাষাতাত্ত্বিক ও শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর নাসরিন আহমেদ, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর হারুন-অর-রশিদ।
জিএ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়