• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সরকার সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে : রিজভী
ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে কথা বললেন আব্দুল মোমেন
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এই ভারতীয় পণ্য বয়কট কেবলই একটি পলিটিক্যাল স্টান্ট। এই স্টান্টের অংশ হিসেবে ইদানীং সময়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে বিএনপিও সায় দিচ্ছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই একটি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে জানান আব্দুল মোমেন। সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই, সেসব দেশে অনারারি কাউন্সিল খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যবস্থা গ্রহণ, বিদেশি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আয়োজন, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জসহ বিদেশের কোন কোন জেলে কত বাংলাদেশি বন্দি এবং মুক্তির বিষয়ে মিশনগুলো কি করেছে, সেসবের বিবরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের অভিযোগ কতগুলো এবং কি অভিযোগ আসে, তার বিবরণ পাঠাতে হবে দূতাবাসগুলোকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন উইং আছে, আমরা সুপারিশ করেছি এর পাশাপাশি যেন মানবাধিকার উইং খোলা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে দূতরা যখন ট্রান্সফার হন, তখন তিনি দূতাবাসের নম্বরটি সঙ্গে করে নিয়ে যান। ফলে সেবাগ্রহীতারা তৎক্ষণাৎ সেবা পায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করার জন্য একটি ইউনিক ফোন নম্বর তৈরির বিষয়টিও আলোচনা হয় বৈঠকে।
ইফতার পার্টি করে মিথ্যাচার চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের 
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি তেমন কেনেন না : রিজভী
ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন নিয়ে বিএনপিতে দ্বন্দ্ব!
স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় বিএনপি : ওবায়দুল কাদের
বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচির কারণ জানালেন নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে আরও বেড়ে যায়, সেজন্যই ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি কখনোই দেশের মানুষের ভালো চায় না। মানুষ শান্তিতে থাকুক তারা এটা চায় না। তারা শেখ হাসিনার সরকারের বিরোধিতার নামে দেশের মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে তুলছে। তারই নতুন সংস্কার ভারত বিরোধিতা। নিত্যপণ্যের দাম যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, সেজন্যই তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই তারা দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড করছে, মানুষের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কাজ করছে আর ভারত বিরোধিতা তাদের তেমনই কর্মসূচি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জী।
ফেসবুকে মনের কথা লিখলেও তুলে নিয়ে যায় : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার সারাদেশে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফেসবুকে মনের কথা লিখলেও তুলে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে শামিল হওয়ায় আমাদের ছাত্রদল-যুবদলের ছেলেদের নির্যাতন করা হয়েছে। তারা কোনো চিকিৎসা পায়নি। তাদের নির্যাতন করে জেলে ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর জেলেও তাদের কোনো চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা খবর পেয়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। কারাবাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি ছেলের সিরাজগঞ্জে বাড়ি, ফেসবুকে একটি পোস্টে লাইক দেওয়ার কারণে র‌্যাব তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রায় ১৪ দিন নির্যাতন করার পর আরেকটি মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছে। সে এখনও জামিন পাচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র, সুশান ও মানবাধিকার নেই। একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি সংগ্রাম আমরা করছি। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে আসছে, রাজপথে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে।
বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া 
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগের চেয়ে সুস্থ বোধ করছেন এবং তিনি আপাতত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসাতেই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দুপুরের পর থেকে একটু অসুস্থতা বোধ করছিলেন। ইফতারের পর মেডিকেল বোর্ড বেশ কয়েকবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। সার্বিক দিক বিবেচনায় তারা মনে করছেন, তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। সেজন্য আপাতত তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসাতেই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন। তিনি আরও বলেন, এখন দুপুরের চেয়ে, সন্ধ্যার চেয়ে, অনেকটাই তিনি সুস্থ বোধ করছেন, যদি কোনো কারণে প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে আবার হয়তো যে কোনো সময় হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হতে পারে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এ বি এম আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত বছরের ৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। বেগম জিয়ার চিকিৎসা দিতে গত ২৫ অক্টোবর মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল ঢাকায় আসে। তারা লিভারসিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার ট্রান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছেন। কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনকে ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। বুধবার (২৭ মার্চ) প্রবাসীকল্যাণ ভবনের বিজয়-৭১ হলে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্য সম্ভব হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস। তাই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে তথা বাংলাদেশকে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন তিনি লক্ষ্য স্থির করেছে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
‘ফিডার খাইয়ে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া হবে, ভেবেছিল বিএনপি’
‘বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল, একটি দেশ তাদের ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, কিন্তু তা হয়নি।’  বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে একটি হোটেলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছিল দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় ৩২ হাজারের বেশি মানুষ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। লন্ডন, ওয়াশিংটন, সিডনিসহ বিশ্বের বহু জায়গায় এমনকি ইসরায়েলের তেল আবিবেও মানুষ এই হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। অথচ ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে নাই, কোনো বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে এই ভয়ে। অর্থাৎ তারা আজ ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে।   তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল একটি বড় দেশ তাদের ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাদের অনুকরণে তারা ঢাকায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখন তারা হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করে। এটা তারা করুক, কিন্তু আগের মতো আগুন-সন্ত্রাস যেন না করতে যায়, তাহলে জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দেবে। ইসলামের কল্যাণে সরকারের অবদান তুলে ধরে এরপর ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ইসলাম এবং আলেম সমাজের কল্যাণে যা করেছেন অন্য কোনো সরকার তা করেনি। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতিদান, প্রতিটি উপজেলায় মনোরম মসজিদ, শিক্ষকসহ মক্তব, আলেমদের সম্মান প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর সভাপতিত্বে ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান এএএম একরকমুল হক ও অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন হেলালী এবং স ম হামেদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মারুফ আজহারী প্রমুখ।
‘আ.লীগ সরকার সরকারিভাবে ইফতার বন্ধ করেছে’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সরকারিভাবে ইফতার বন্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে গণঅধিকার পরিষদের (নুর) ইফতার অনুষ্ঠানের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সরকারিভাবে ইফতার বন্ধ করেছে। ইফতার আমাদের ঐতিহ্য। এটা আদিকাল থেকেই চলে আসছে। আজকে ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি জানি না, এটা কার জন্য করা হয়েছে। কাদের খুশি করতে করা হয়েছে?’ তিনি বলেন, ‘আজকে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ নেই। আমরা যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি তাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ নিদারুণ অভাবে আছে। এই অভাবের কারণে দেশের এক শ্রেণির মানুষ খাবার খেতে পারছে না।’ গণঅধিকার পরিষদের এই অনুষ্ঠানে পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এবং আলোকচিত্রি শহীদুল আলম।
পরিবারের খোঁজ নিতে কারাবন্দি নীরবের বাসায় রিজভী
পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে কারাবন্দি যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের বাসায় গেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নীরবের গুলশানের নিকেতনের বাসায় যান তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মামলা ও জামিনের সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ নেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় রিজভীর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।