পুতুপুতু করে জুলাই গণহত্যার বিচার করা হচ্ছে: নুর
পুতুপুতু করে জুলাই গণহত্যার বিচার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে খেলাফতে রাশেদা বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘২৪-এর গণহত্যাসহ বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এবং দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসন মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
নুর বলেন, আমরা লুটপাট, গুম, খুন, হত্যার বিচার চাই। চব্বিশের গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড থেকে এই গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার চাই। কিন্তু, তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয় নাই। একটা ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, কিন্তু একটা ট্রাইব্যুনাল দিয়ে তো এই বিচার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না। পাঁচটা ট্রাইব্যুনাল করে দিতো; বুঝতেছি না কেন এভাবে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে পুতুপুতু করে বিচার করা হচ্ছে, তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘোড়ার ডিম করতে করতেই কাজ সেরে যাবে। এগুলো করতে করতেই তারপর দেখবেন নির্বাচন হয়ে গেছে। রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক ইন্টারেস্টের জায়গা থেকে দেশি-বিদেশি দেন-দরবারের অনেক রাস্তা খুলে যাবে। শেষ পর্যন্ত বিচার আর নাও হতে পারে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না– এই কথাটি কী বিএনপি এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে জোরেশোরে বলা হচ্ছে? বলা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রশ্নে তাদের অবস্থান পরিষ্কার না। আমি অনুরোধ জানাবো, আপনারা যদি গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করেন, গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটে যদি আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চান তাহলে আপনাদের পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করতে হবে, আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপনারা কোনো আপস করবেন না।
আলোচনা সভায় তিনি অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নুর বলেন, অভ্যুত্থানের পর হয় বিপ্লবী সরকার। এখানে বিপ্লব করেছি আমরা ছাত্র-যুবক-তরুণরা। কিন্তু, উপদেষ্টা পরিষদে আছেন বয়োবৃদ্ধরা। তাহলে বিপ্লবী স্পিরিটে সরকার চলবে কীভাবে?
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, আমরা খুব হতাশ হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি। কোনো রাজনৈতিক দল জানে না সরকার কীভাবে গঠন হয়েছে। আওয়ামী লীগের পরে বিএনপি বড় রাজনৈতিক দল, তাদের হয়তো বলা হয়েছে আপনাদের রেফারেন্সে নাম দিয়েন ৪-৫টা। সেখান থেকে হয়তো ২-৩ জনকে নেওয়া হয়েছে। আর কোনো দলের রেফারেন্সে কাউকে নেওয়া হয় নাই, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। কই থেকে এই তালিকা আসলো? কোন অ্যাম্বাসি থেকে এই তালিকা আসলো? কোন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এই তালিকা আসলো– আমরা জানি না।
খেলাফতে রাশেদা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতি আজহারুল ইসলাম আশরাফীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা মীর্জা ইয়াসীন আরাফাত, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান প্রমুখ।
আরটিভি/এসএইচএম
মন্তব্য করুন