গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, পুলিশকে ফাংশন করতে না দিলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের উচিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশকে সহযোগিতা করা।
বিগত ১৬ বছরে গুম-খুন ও ক্রসফায়ারের সঙ্গে জড়িত র্যাব সদস্যদের বিচারের দাবিতে শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে র্যাব হেডকোয়ার্টারের সামনে দ্বিতীয় শহীদী মার্চ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। সাত মাসে ৭ শতাংশ সংস্কারও করতে পারে নাই। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের কাজ দৃশ্যমান করতে হবে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হলে পুলিশকে ফাংশন করতে দিতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য জড়িত তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের এই সদস্য বলেন, ২৪-এর অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ২ হাজার ছাত্র-জনতার পরিবার যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন না চাইবে ততক্ষণ বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি কখনও মেনে নেওয়া হবে না। গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি।
র্যাবের বিষয়ে আবু হানিফ বলেন, র্যাব গঠন করা হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিন্তু বিগত সময়ে সরকার তাদের দলীয় বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করেছে। যারা আওয়ামী লীগের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ কিংবা পদোন্নতি পেয়েছিল তারাই হাসিনাকে রক্ষা করতে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পুরো বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।
এ সময় র্যাবের কলঙ্ক মুছতে হলে র্যাবকে বিলুপ্ত করে নতুন কোনো বাহিনী গঠন করতে হবে বলেও জানান তিনি।
আরটিভি/আরএ/এআর