ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, আছিয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ইসলামের ব্যভিচার আইন রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বিচারিক প্রক্রিয়া বিলম্ব হলে জনগণ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। বর্তমান আইনশৃঙ্খলার অবনতি তাই প্রমাণ করে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ টিসিবি অডিটোরিয়ামে ‘বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সিয়ামের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, মানুষ ক্রমশ আইন হাতে তুলে নিতে অভ্যস্ত হচ্ছে। এটা রাষ্ট্রের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। সর্বত্র এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। সবকিছু মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা জুলাই-আগষ্ট পরবর্তি বাংলাদেশে কাম্য ছিল না।
তিনি বলেন, শিশু-নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনাসহ সকল বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা শোনা গেলেও বাস্তবে আমরা তার কিছুই দেখছি না। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকলে তা আইন কমিশন সংস্কারের মাধ্যমে নিরসন করতে হবে।
ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের বলেন, ২৪-এর জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পুলিশ প্রশাসনের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে। যার ফলে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন না করায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির ঘটেছে।
তিনি বলেন, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিষ্টদের সহযোগীরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। ইউনূস সরকারের কাজে বাধা দিচ্ছে। রাষ্ট্রকে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এটা কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, যৌক্তিক সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ে স্থানীয় নির্বাচনের পরেই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ। কোনো বিশেষ দল বা দেশের অশুভ শক্তির চাপে কোনভাবেই স্থানীয় নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের পরে আয়োজন করা যাবে না। এমনটা হলে জুলাই-আগষ্টের শহীদ ও তাদের পরিবারের সঙ্গে গাদ্দারি করা হবে। এদেশে আবারও স্বৈরাচারের বীজ বপন হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিশের মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাজী, আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মুফতি ওয়ালি উল্লাহ, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মোস্তফা আল মামুন মনির, নগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম শরীয়তুল্লাহ, মুফতি মো. মাছউদুর রহমান, ডাক্তার মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান, মুফতি নিজাম উদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দীন পরশ ও মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার অব. আমিনুল হক তালুকদারসহ অনেকেই।
আরটিভি/আরএ/এআর