বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন একজন সফল মানুষ ও অত্যন্ত প্রাজ্ঞ ব্যক্তি, যিনি ছোটবেলা থেকেই ইসলামের অনুসারী ছিলেন।
সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক তৃতীয় জানাজা বাদ যোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পূর্ব স্মৃতিচারণামূক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাহের বলেন, তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানী ও স্বচ্ছ চরিত্রের মানুষ, কোরআনের উপর যার গভীর জ্ঞান ও পাণ্ডিত্য ছিল।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
ক্রন্দন কণ্ঠে তাহের বলেন, আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দোয়া করি, তাকে যেন জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন। তিনি অত্যন্ত উদার, অমায়িক, আদর্শ অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।
নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন বিশিষ্ট আলেম ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম।
এর আগে, রোববার (৪ মে) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। দুই ছেলেও ব্যারিস্টার এবং তারা সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ১১ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। ৬ জানুয়ারি তার জুনিয়র আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে তাকে সংবর্ধনাও দিয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এর আগে, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী ছিলেন।
আরটিভি/একে