প্রশ্ন রেখে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, নাহিদ ইসলামকে আমরা জিজ্ঞেস করতে চাই, সরকারে থেকে কেন তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নিলেন না। আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম কী করলেন।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেন। আজকে আমরা যমুনা ঘেরাও করছি না, পরবর্তীতে গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে কোনো ছাড় দেবে না।
আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে দেশ সার্বভৌমত্বের সংকটে পড়বে।
এ সময় উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের এই সভাপতি বলেন, দুর্বল উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে না। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পাশাপাশি স্মারকলিপিতে মধ্যে আমরা উপদেষ্টা পরিষদকে পুনর্গঠনেরও দাবি জানিয়েছি।
বিক্ষোভ মিছিলে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানও বক্তব্য রাখেন।
বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, যমুনার সামনে যখন অন্য বিক্ষোভকারীরা যায় তখন তাদের পুলিশের লাঠিচার্জ করা হয়। তবে গত শুক্রবার আমরা দেখলাম এনসিপি যখন গেল, তখন তাদের ঠান্ডা পানি ছিটানো হলো। পরবর্তীতে তাদের শাহবাগের অবস্থান করার সুযোগ দেওয়া হলো, যেখানে সভা করা নিষিদ্ধ। সরকারের এই দ্বিচারিতা নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে।
এ সময় জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি তোলেন রাশেদ।
আরটিভি/আইএম