মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মঙ্গলবার (২৭ মে) খালাস পেয়েছেন। আদালতের এ রায়ে ‘ন্যায়বিচারের প্রতিফলন ঘটেছে’ বলে মন্তব্য করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দিল্লির মদদপুষ্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আধিপত্যবাদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার যে প্রবণতা চালু করেছিল, আজকের রায়ের মাধ্যমে তা জাতির সামনে উন্মোচিত হলো। এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ, বিচার ও রায়—সবকিছুতেই যে ন্যায়বিচারের নামে চরম অবিচার সংঘটিত হয়েছে তার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিলেছে।
নেতারা বলেন, আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে যেসব সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়েছিল, তা ছিল বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত। একজন সাক্ষী ঘটনাস্থল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে থেকেও নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন এবং আরেকজন নিজেকে ভিকটিমের সহপাঠী বললেও প্রামাণ্য ডকুমেন্টে দেখা যায়, তিনি কলেজে ভর্তি হন ভিকটিমের কলেজ ছাড়ার দুই বছর পর। এমন অসংগতি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রমাণের ভিত্তিতে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল বিচারিক হত্যার শামিল।
তারা আরও বলেন, আজকের রায়ে সর্বোচ্চ আদালত এই সব বানোয়াট সাক্ষ্য ও দুর্বল প্রমাণের অসারতা তুলে ধরেছেন এবং পূর্ববর্তী রায়কে ‘সত্যের বিকৃতি’ ও ‘ন্যায়বিচারের মারাত্মক ব্যর্থতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এতে আবারও প্রমাণিত হলো—সত্যকে চিরদিন মিথ্যার আবরণে ঢাকা যায় না।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ছাত্রশিবিরের এই দুই নেতা বলেন, অবিলম্বে একটি রিভিউ বোর্ড গঠন করে পূর্ববর্তী সব বিতর্কিত ও পক্ষপাতদুষ্ট রায় পুনর্বিবেচনার ব্যবস্থা করতে হবে এবং শহীদ পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
সবশেষে তারা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আজকের এই রায় কেবল একটি বিচারের সমাপ্তি নয়— এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচনের দিকেও এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
আরটিভি/আইএম