মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের তীব্র আন্দোলনের মুখে শনিবার (১০ মে) আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরপরই প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ফেসবুক ফটোকার্ডের মাধ্যমে অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ছবি ব্যবহার করে তার বক্তব্য দাবিতে যমুনা টিভির আদলে তৈরি ফটোকার্ডের মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, বুকে পাথর চাপা দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি, প্রধান উপদেষ্টা।
তবে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ বলছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ইস্যুতে ড. ইউনূস উক্ত মন্তব্য করেননি এবং যমুনা টিভিও উক্ত দাবিতে কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ভুয়া এই ফটোকার্ড তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটিতে যমুনা টিভির লোগো রয়েছে। তবে এটি প্রকাশের কোনো তারিখ উল্লেখ পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষণা আসে গত ১০ মে রাতে। এর সূত্রে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত দাবি সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তাছাড়া, যমুনার ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের ডিজাইন পর্যালোচনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ফন্টের ডিজাইনের সাথে অমিল খুঁজে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, যমুনা এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, বুকে পাথর চেপে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত ড. ইউনূসের মন্তব্য দাবিতে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।
আরটিভি/একে