অনেকে তাকে বলতেন ঘুমন্ত সিংহ। জেগে গেলে প্রতিপক্ষ ঘায়েল। নিজের সময়ে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছেন। তার কাছে পাত্তা পাননি ওয়াসিম, মুরালিধরন, ম্যাকগ্রা, ওয়ার্নের মতো কিংবদন্তি বোলাররা। বলা হচ্ছে, ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার কথা। তার সময়ে ক্রিকেট বিশ্বে বেশ শক্ত অবস্থানেই ছিল ক্যারিবীয়রা।
তবে তিনি অবসরের পরই যেনো সব শেষ। বর্তমানে ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেই ভালো অবস্থানে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা দলটির কোনো ক্রিকেটার। তাই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে দলের ব্যাটসম্যানদের জেগে ওঠার আহ্বান জানালেন এ ব্যাটিং মায়েস্ত্রা।
লারা বলেন, বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রতিটি ব্যাটসম্যান মেধাবী। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের তালিকায় কেউ নেই। সেই তালিকায় থাকতে দলের ব্যাটসম্যানদের জেগে উঠতে হবে।
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে একটি জাদুঘরের উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই মেধা আছে। আমি বরাবরই বলে আসছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণরা বিশ্বের সবচে’ মেধাবী। টিনএজ বয়স থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার কারণে তারা এতো মেধাবী। তাদের সবার যোগ্যতা আছে। মন থেকে চাইলেই আমাদের হারানো গৌরব তারা ফিরিয়ে আনতে পারে।
বর্তমানে দলে ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট, শাই হোপ ও কাইলদের মতো ব্যাটসম্যান আছে। এরই মধ্যে তারা নিজেদের মেলে ধরেছেন। তবে তাদের আরো ধারাবাহিক হওয়ার পরামর্শ দিলেন লারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, অনেকে আছে ক্যারিয়ারের শুরুতেই দারুণ পারফরম করে নজর কাড়ে। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা পথ হারিয়ে ফেলে। বিশ্বের সব জায়গাতেই মেধা আছে। তবে যাদের মানসিক শক্তি আছে তারাই সব বাধা পেরিয়ে দিন শেষে সাফল্য পাবে। অনেকে হয়তো অল্প ক্ষণের পারফরম্যান্স দেখে কারো প্রশংসা করবে। কিন্তু সে যদি এসব বাধা পেরোতে না পারে তাহলে জেগে উঠে সামনে এগোতে পারবে না।
নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের মালিক। তিনি বলেন, এগিয়ে থাকার মানসিকতা নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা শুরু করতে হয়। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ইদানিং মানসিকভাবে এগিয়ে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভুলে গেছে।
সমাধানের পথও বাতলে দিয়েছেন লারা। ৪৭ বছরের এ ক্রিকেটার বলেন, যুব দল থেকে জাতীয় দলে ক্রিকেটার টানতে হবে ওয়েষ্ট ইন্ডিজকে। এজন্য তাদের পরিচর্যায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে বোর্ডকে।
আসছে আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্ট সিরিজ খেলবে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।
ডিএইচ