বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে হারের কারণে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। এ ম্যাচ হারলে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে জামাল ভূঁইয়াদের। এমন সমীকরণের ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। তাতে আসর থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
তবে বিরতিতে যাওয়ার আগেই বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। ৪২ মিনিটে হেড থেকে তার দুর্দান্ত গোলে প্রথমার্ধ পর্যন্ত ম্যাচে রয়েছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। 'বি' গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে সমতায় রেখে বিরতিতে গেছে দুই দল।
রোববার (২৫ জুন) ভারতের বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তীরাভা স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে প্রথমার্ধে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা চালিয়েছে বাংলাদেশ। ৫৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ১৩টি শট নেয় বাংলাদেশ, যার ৪টি ছিল গোলমুখে। বিপরীতে ৪৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে মালদ্বীপের নেয়া ৩ শটের ১টি ছিল গোলমুখে।
বাংলাদেশ লড়াইয়ে আধিপত্য দেখালেও প্রথম সাফল্য আসে মালদ্বীপের পক্ষেই। ১৭ মিনিটে রক্ষণের দুর্বলতায় গোল হজম করে বসে জামালরা। বামপ্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে আলি ফাসির পাস দেন হামজা মোহাম্মদকে। ডি-বক্স থেকে তার নেওয়া ডান পায়ের শট বামে ঝাপিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারেননি গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো।
এরপর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ৩৪ মিনিটে গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েও ভাগ্য সহায় হয়নি জামালদের। কর্নার থেকে আসা বলে প্রতিপক্ষের ডি-বক্স হেড নেন তপু বর্মন। তার হেড জালে জড়ানোর আগে মালদ্বীপের রক্ষণের কল্যাণে বল গ্লাভসবন্দি করে নেন মালদ্বীপ গোলরক্ষক হুসাইন শরীফ।
পরের মিনিটে গোলের উদ্দেশে আরও একটি শট নেয় বাংলাদেশ। তবে দুর্বল শটের কারণে সহজেই বল গ্লাভসবন্দি করে নেন শরীফ। বাংলাদেশ তাদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা পায় ৪২তম মিনিটে। প্রায় মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের ফ্রি কিক ডি-বক্সে হেড নেন তপু। সেটা পেয়ে যান অরক্ষিত থাকা রাকিব। বাকি কাজটা অনায়াসে সেরে দলকে সমতায় ফেরান তিনি।
বাংলাদেশ দলের এ ফরোয়ার্ড আরও একবার গোলের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন বিরতির আগে। বাঁ প্রান্তে আক্রমণে উঠে গোলের উদ্দেশে জোরালো শট নেন রাকিব। তবে দারুণ প্রচেষ্টায় লাফিয়ে সেটি কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন শরীফ। ফলে ১-১ গোলের সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।