উয়েফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় লিওনেল মেসি, কেভিন ডি ব্রুইনারের সঙ্গে ছিলেন আর্লিং হলান্ড। শেষপর্যন্ত মেসি-ব্রুইনাকে টপকে ইউরোপের বর্ষসেরা পুরস্কার জিতলেন ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে মোনাকোর গ্রিমালদি ফোরামে অনুষ্ঠিত হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের ড্র। সেখানেই উয়েফার প্রেস্টিজিয়াস এই পুরস্কার পান ২৩ বছর বয়সী হলান্ড।
হলান্ডই প্রথম নরওয়ের ফুটবলার, যিনি এই সম্মাননায় ভূষিত হলেন। হালান্ডের হাতে ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলারের ট্রফি তুলে দেন উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন। এর দুদিন আগেই পিএফএ বর্ষসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
গত মৌসুমেই জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন হলান্ড। অভিষেক মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেন ৫২ গোল।
মেসি ইউরোপে তার সম্ভাব্য শেষ মৌসুমে পিএসজি হয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতেছেন। এর আগে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের একমাত্র অপ্রাপ্তিও ঘুচিয়েছেন তিনি। এদিকে সিটির সাফল্যে হলান্ডের সতীর্থ ডি ব্রুইনাও আলো ছড়িয়েছেন। তবে শেষপর্যন্ত হালান্ডই ইউরোপের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।
এবার উয়েফার সেরা নারী খেলোয়াড় হয়েছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি। এ বছর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ও বিশ্বকাপ জিতেছেন ২৫ বছর বয়সী বোনমাতি। সেটারই স্বীকৃতি পেলেন বার্সেলোনার এ তারকা।
বর্ষসেরা পুরুষ কোচ হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটিকে ট্রেবল এনে দেওয়া পেপ গার্দিওলা। আর বর্ষসেরা নারী কোচের স্বীকৃতি ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের সারিনা ওয়েগমান। এ ছাড়া আজীবন সম্মাননার উয়েফা প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা।
উয়েফার পুরস্কার জিতেছেন যারা:
বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলার : আর্লিং হলান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি ও নরওয়ে)
বর্ষসেরা নারী ফুটবলার : আইতানা বোনমাতি (বার্সেলোনা ও স্পেন)
বর্ষসেরা পুরুষ কোচ : পেপ গার্দিওলা (ম্যানচেস্টার সিটি)
বর্ষসেরা নারী কোচ : সারিনা ভিগমান (ইংল্যান্ড)
উয়েফা প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড : মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি)