ঢাকারোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১

‘সাকিবের মন্তব্য দলের মনোবল ভেঙে দিয়েছে’

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ০৫:৪১ পিএম


loading/img
ছবি- সংগৃহীত

এশিয়া কাপ মিশনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় হার দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই পরাজয়ে নিজের পাশপাশি দলের ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দায়ী করেন ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। তবে টাইগার অলরাউন্ডারের এমন মন্তব্য মোটেও ভালো লাগেনি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজার। তার মতে, সাকিবের কথা দলের মনোবল ভেঙে দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপের দল থেকে আগেই ছিটকে যান দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর ভাইরাস জ্বরের কারণে ম্যাচের শেষ মুহূর্তেও দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি আরেক ওপেনার লিটন দাস। তাই প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়ে অনভিজ্ঞ দুই ব্যাটারকে নামানো হয়। যেখানে মুখ থুবড়ে পড়েন নাঈম শেখ ও অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। 

অথচ তামিম-লিটন না থাকায় দায়িত্বটা বেড়ে গিয়েছিল দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের প্রতি। কিন্তু তারাও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তবে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল। শেষ পর্যন্ত শান্তর ৮৯ রানের ইনিংস ছাড়া কেউ তেমন অবদান রাখতে না পারায় বাংলাদেশ করতে পারে মাত্র ১৬৪ রান।

তাই সাকিবকে কটাক্ষ করেছেন পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘আমার ভালো লাগেনি, যখন ম্যাচ পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে সাকিব বললেন যে লিটন ও তামিম নেই। এটা বলা ঠিক নয়। কারণ, এমন মন্তব্যের পর সব দলই ভেঙে পড়ে। তারা মনে করে, আমাদের ওপর ভরসা নেই, আমাদের স্কিলের ওপর অধিনায়কের ভরসা নেই, আমাদের গোনায় ধরছেন না এবং তার চোখে আমরা ম্যাচ উইনার নই।’

ব্যাটিংয়ে অল্প পুঁজি পেলেও বোলিংয়ে কিছুটা পুষিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের পেসাররা। শ্রীলঙ্কানদের ইনিংসের কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল তাসকিন, শরিফুল, সাকিবরা। কিন্তু সামারাউইক্রিমা ও চারিথ আশালাঙ্কার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৬৬ বল আগেই ৫ উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। এই হার থেকে সাকিবকে শিখতে বলছেন পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ। 

তিনি বলেন, ‘আপনাকে কৌশলগত ও বিশ্লেষণগতভাবে এই হারের কারণ বের করতে হবে। দ্রুত এর সমাধান করতে হবে। কারণ, বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক ভালো ম্যাচ জিতেছে। তাদেরকে বাংলাদেশেও হারিয়েছে। তাই সাকিবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের মানসিকতা ভালো অবস্থায় রাখা এবং এই হার থেকে শেখা। কারণ, এটা কঠিন উইকেট ছিল।’

সাকিব ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ভালো মানের অলরাউন্ডার না থাকাকে সমস্যা মনে করছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। তার ভাষ্য, ‘সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য শ্রীলঙ্কা কঠিন উইকেট থাকে। কারণ, এখানে বল আটকে আসে, এখানে হাফ স্পিনারও পুরো স্পিনার হয়ে যায়। সাকিবের বলেও স্পিন হচ্ছিল। সাধারণত সে খুব বেশি বল স্পিন করে না। বাংলাদেশের জন্য আরেকটি সমস্যা হলো, তাদের কাছে দু-একজন কোয়ালিটি অলরাউন্ডার নেই। সাকিব বাদে বাকি কোনো অলরাউন্ডার নেই।’

‘দ্বিতীয়টা হলো বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার অপরিপক্ক বোলারদের চড়াও হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছে। ২১ বছর বয়সী ওয়েললাগের থেকে ওভারে মাত্র ৪ এর ওপর রান নিয়েছে, এটাও এক ভুল ছিল। পাথিরানার কাছে ক্লাস, স্পিড আছে, স্লিংগিং অ্যাকশনের কারণে কিছুটা মুশকিল বোলার। কিন্তু থিকশানাকে চড়াও হতে দিয়েছে। কোনো জায়গায় মনে হয়নি, যে পরিকল্পনা ছিল।’

আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে সাকিব বাহিনী। আফগানদের বিপক্ষে সেই ম্যাচ খেলতে কলম্বো থেকে লাহোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সাকিব-মুশফিকরা। সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচ জিততেই হবে।

যদিও রশিদ খানদের বিপক্ষে জিতলেও পার হতে হবে অনেক ‘যদি-কিন্তু’র বাধা। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেরা চারে যেতে হলে আফগানদের হারানোই শুধু যথেষ্ট নয়, অনেক বড় ব্যবধানে জয়ও প্রয়োজন হবে। যদি গ্রুপের তিন দলই একটি করে ম্যাচ জিতে নেয়, তাহলে পয়েন্ট সমান হয়ে গেলে পরের পর্বে যাওয়ার টিকিট হয়ে উঠবে রানরেটে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |