নানান টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসর এশিয়া কাপ। ছয় ধরনের এই টুর্নামেন্টে নানান নাটকীয়তার সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান কিংবা ভারত-বাংলাদেশের দ্বৈরথের উত্তাপ। তবে খুব একটা সাড়া ফেলেনি বহুল প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ।
এবারের আসরে ব্যাট হাতে আলোর দ্যুতি ছড়িয়েছেন ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিল। ইনফর্ম এই ব্যাটার বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন। পাকিস্তান এবং নেপালের বিপক্ষে খেলেছেন পঞ্চাশের বেশি রানের দারুণ ইনিংস। সব মিলিয়ে ৬ ম্যাচে তার রান ৩০২।
এই তালিকার দুইয়ে আছেন কুশল মেন্ডিস। এবারের আসরে দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন এই ব্যাটার। ৬ ম্যাচে করেছেন ২৭০ রান।
তিনে আছেন আরেক লঙ্কান ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৩৬ এর কাছাকাছি গড়ে করেছেন ২১৫ রান। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে ধুঁকতে থাকা লঙ্কানদের আশার আলো দেখিয়ে জয়ের পুঁজি গড়তে তার ৯৩ রানের ইনিংসটি এশিয়ান লড়াইয়ের স্মৃতির পাতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ব্যাটের সঙ্গে বল হাতেও দাপট দেখিয়েছে লঙ্কানরা। শীর্ষ তিনের দুইজনই লঙ্কান বোলার। টুর্নামেন্টের সেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছেন বেবি মালিঙ্গা খ্যাতি পাওয়া মাহিশা পাথিরানা। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন তরুণ এই পেসার। ফাইনালে ৬ উইকেট নিয়ে তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। ভারতীয় এই পেসারের সমান ১০ উইকেট নিয়ে গড় ব্যবধানে পিছিয়ে তালিকার তিনে আরেক লঙ্কান দুনিথ ভাল্লালাগে।
তবে এই তালিকার কেউই আসর সেরার খেতাব পাননি। আসরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে টুর্নামেন্টে সেরা হয়েছেন ৯ উইকেট পাওয়া ভারতীয় বোলার কুলদীপ যাদব।