ভারতের মাটিতে চলছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। বৈশ্বিক এই আসরের ইতিহাসে বিরল এক রেকর্ডের মালিক হলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন তিনি। সিংহাসনে উঠে আসতে গিয়ে সাকিব পেছনে ফেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ক্রিস গেইল ও শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সানাথ জয়সুরিয়াকে।
ক্রিস গেইল ২০০৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৫টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ৩০ ম্যাচ খেলে সর্বমোট ১ হাজার ১৮৬ রান এবং ১৬টি উইকেট শিকার করেন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন শ্রীলঙ্কার ‘মাতারা হারিকেন’ খ্যাত সাবেক অধিনায়ক সানাথ জয়সুরিয়ার। তিনি ১৯৯২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত মোট ৫টি আসরে ৩৮ ম্যাচ খেলে সর্বমোট ১ হাজার ১৬৫ রান ও ২৭ উইকেট সংগ্রহ করেন।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এম. চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব ১১৬১ রান নিয়ে খেলতে নামেন। গেইলকে টপকাতে প্রয়োজন ছিল ২৬ রানের আর জয়সুরিয়াকে টপকাতে প্রয়োজন ছিল পাঁচ রানের। কিউইদের বিপক্ষে এই ম্যাচে দলের বিপর্যয়ের মুখে ব্যাট হাতে ৫১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব।
বর্তমানে বিশ্বকাপের ইতিহাসে শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিবের রান ১২০১ রান ও উইকেট সংখ্যা ৩৮টি। বর্তমানে ক্রিকেট খেলছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সাকিব আল হাসানের আশেপাশে আর কেউ নেই। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডারের তালিকার শীর্ষ ৪০ এও নেই কেউ। সাকিব আল হাসান ২০০৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ৫টি আসরে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩২টি ম্যাচ খেলে এই রেকর্ড গড়েন টাইগার অধিনায়ক।
তার এ রেকর্ড যে আরও এগিয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে। কেননা চলতি আসরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আরও ৬টি ম্যাচ খেলবে। সাকিব সুস্থ্য থাকলে সবকটি ম্যাচে মাঠে নামবেন তা বলাই যায়।
এর মধ্যে ২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিব ছিলেন দুর্দান্ত। ৮ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফসেঞ্চুরিসহ ৬০৬ রান সংগ্রহ করেন। বল হাতে তুলে নেন ১১ উইকেট। যা তাকে ২০১৯ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী ব্যাটারদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে নিয়ে গিয়েছিল। সেই আসরে ৬৪৮ রান করে ভারতের রোহিত শর্মা শীর্ষ রান সংগ্রহাকদের আসন দখল করেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার করেন ৬৪৭ রান।