ভারতের মাটিতে চলছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। বৈশ্বিক এই আসরে সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিবেশী দেশটিতে পা রেখেছিল বাংলাদেশ দল। সাকিব বাহিনী আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলেও, পরের দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে গেছে। ফলে টাইগারদের সেমির লক্ষ্য বাস্তবায়ন অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
আগামী ১৯ অক্টোবর পুনেতে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার জন্য চেন্নাই থেকে আজ দুপুরে পুনেতে পৌঁছান সাকিব-রিয়াদরা। ভারত ম্যাচের আগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত টাইগার ক্রিকেটারদের দুদিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এরপর দুদিন অনুশীলন সেরে চতুর্থ ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যে নামবে সাকিব আল হাসানের দল।
তবে ওই ম্যাচে স্বাগতিক ভারতই চাপে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন। চেন্নাইয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের চেয়ে ভারতের ওপরই চাপ বেশি থাকবে। আমরা গোছানোর সময় পাব। গত ৭ দিনে ৩ ম্যাচ খেলেছি। পরের ২৯ দিনে খেলব ৬ ম্যাচ। পরের ম্যাচ ৬ দিন পর। নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করার সময় পাব। আমাদের হারানোর কিছু নেই। নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। সাহস নিয়ে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের। আগ্রাসী ক্রিকেটের মনোভাব না থাকলে এই লেভেলে খেলা কঠিন।’
ব্যাটাররা জ্বলে উঠলেই সব ঠিক হয়ে যাবে বলে মত সুজনের, ‘বাংলাদেশ এর আগে সবাইকে হারিয়েছে, হোক দেশের মাটিতে কিংবা বাইরে। নিউজিল্যান্ডকে ওদের মাঠে টেস্টে হারিয়েছি। আমরা পারি না তা নয়। পারফরম্যান্সের সমন্বয় হচ্ছে না, যেটা আমাদের খুব দরকার। ব্যাটিংয়ে জ্বলে ওঠা দরকার, সঙ্গে বোলিংও। বলব না বোলাররা খারাপ করছে। তবে লক্ষ্য কম হলে এপ্রোচ বদলে যায়, তখন ওরাও ভুল করে। এখন উইক জোন বললে ব্যাটিং।’
সুজনের কাঠগড়ায় কেবল দলের ব্যাটাররা। টপ অর্ডারদেরই বড় দায়িত্ব রাখার কথা বলছেন সাবেক এই টাইগার ক্রিকেটার। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ কামব্যাক করার সুযোগ রয়েছে বলে বিশ্বাস তার, ‘আমরা ব্যর্থ হয়েছি। মূলত টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে, এটা একটা বড় ব্যাপার। এখনও আমরা বিশ্বাস করি এই জায়গা থেকে কামব্যাক করতে পারব। টপ অর্ডারদের ঘুরে দাঁড়ানো দরকার। আমাদের সামর্থ্য আছে, দেখা যাক।’
এদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিং করার সময় থাই স্ট্রেইনের চোট পেয়েছিলেন বাংলাদেশের দলপতি সাকিব আল হাসান। সেই চোটে ম্যাচ শেষ না করেই তাকে ছুটতে হয়েছিল হাসপাতালে। স্ক্যান করানোর পর সাকিবের পেশিতে চিড় ধরা পড়ে। যেই চিড়ের কারণে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিবের খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। একই সাথে তার জ্বর ভাবাচ্ছে টাইগার শিবিরকে।
কিন্তু এখনও সাকিবের চোট কতোটা গুরুতর সেটি জানতে পারেনি বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। তারপরও সাকিবকে ভারতের বিপক্ষে পাওয়া নিয়ে আশাবাদী জাতীয় দলের মেডিক্যাল ইউনিট। এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘ওর (সাকিব) পেশিতে চিড় ধরা পড়েছে, এখনও রিপোর্ট আসেনি। আশা করি ভারতের বিপক্ষে পরের ম্যাচ খেলতে পারবে।’