ডাচদের উড়িয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দৌড়ে টিকে রইল ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৩ , ১০:০৮ পিএম


ইংল্যান্ড
ছবি- সংগৃহীত

চলতি ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাত ম্যাচের মধ্যে ছয় ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে অনেক আগেই ছিটকে গেছে ইংল্যান্ড। পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে থাকায় তাদের ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া নিয়েও শঙ্কা জেগেছিল। তবে নেদারল্যান্ডসকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে একলাফে সাতে উঠে এসেছে ইংরেজরা।  এতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আশা টিকিয়ে রেখেছে জস বাটলাররা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৮ নভেম্বর) পুনেতে বিশ্বকাপের ৪০তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে মঈন আলি ও আদিল রশিদদের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়ে ৩৭.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানে থেমেছে স্কট এডওয়ার্ডসের দল। ইংরেজদের ১৬০ রানের জয়ের ফলে জমে উঠেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা নিশ্চিতের লড়াইটাও। বাংলাদেশ এখন আছে আট নম্বরে।


ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৪০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নেদারল্যান্ডসের শুরুটা ছিল একেবারেই ধীরগতির। সেখান থেকে আর সুবিধাও করা হয়নি তাদের। প্রথম ৫ ওভারে রান উঠেছে ২ এর কিছু বেশি। সেই চাপ সামাল দিতে গিয়েই কিনা ক্রিস ওকসের বলে কাটা পড়লেন ম্যাক্স ও ডড। দলীয় ১২ রানে পতন ঘটে প্রথম উইকেটের। পরের ওভারেই ফিরে যান দলের বড় ভরসা কলিন অ্যাকারম্যান। ১৩ রানেই পতন ঘটে ২য় উইকেটের। এবার বোলার ছিলেন ডেভিড উইলি। 

বিজ্ঞাপন

এরপর প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেওয়ার কাজ করেছেন ওয়েসলি বারেসি এবং সাইব্র্যান্ড এংগেলব্রাখট। দুজন মিলে যোগ করেছেন ৫৫ রান। এই জুটি যখনই কিছুটা স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন বারেসি। ১০০ রানের আগেই পতন ঘটে ৪র্থ উইকেটের। উইলির দ্বিতীয় শিকার হন সাইব্র্যান্ড। ততক্ষণে অবশ্য পেরিয়ে গিয়েছে ২২ ওভার। ডাচদের জন্য জয়টা তখন দূরের বাতিঘর। 

এরপর স্কট এডওয়ার্ডস শুরু করেন নিজের সংগ্রাম। মাঝে বাস ডি লিট ফিরে গিয়েছেন। জুটি গড়েছেন তেজা নিদামানুরুর সঙ্গে। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫৯ রান। ওটাই ছিল ডাচদের শেষ আশা ভরসা। ১৬৩ রানে এডওয়ার্ডস আউট হলে ডাচদের হার হয়ে যায় সময়ের ব্যাপার। ১৬ রানেই পতন ঘটে শেষ ৫ উইকেটের। ডাচটা গুটিয়ে যায় ১৭৯ রানে। ইংল্যান্ডের জয় আসে ১৮০ রানের ব্যবধানে।  

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো সূচনা এনে দেন দুই ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ডেভিড মালান। তবে সপ্তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৪৮ রানের মাথায় বিদায় নেন বেয়ারস্টো। বিদায়ের আগে ১৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৫ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এরপর রুটকে নিয়ে দলের সংগ্রহ শতক ছাড়িয়ে নিয়ে যান মালাণ। তবে ৮০ বলে ৮৫ রানের জুটি ভেঙে যায় রুটের বিদায়ে। দলীয় ১৩৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৮ রানে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

বিজ্ঞাপন

একপ্রান্তে দারুণ ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ডেভিড মালান। এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত ৭৪ বলে ৮৭ রান করে সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর হ্যারি ব্রুকস ১১, অধিনায়ক জশ বাটলার ৫ ও মঈন আলি ৪ রান করে ফিরলেব্যাটিং বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল ইংলিশরা। ডাচ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দলীয় ১৯২ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারিয়ে আরেকবার অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল ইংরেজরা। 

তবে অবসর ভেঙে বিশ্বকাপে ফেরা উনিশে ইংরেজদের বিশ্বজয়ের নায়ক এতদিনে এসে যেন চেনা ছন্দে ফিরলেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে তার অভিষেক সেঞ্চুরিতে ভর করে তিনশ’ পেরোয় ইংল্যান্ডের পুঁজি। স্টোকসকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ক্যামিও ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেন ওকস। সপ্তম উইকেটে তাদের ১২৯ রানের জুটির পর নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৩৩৯ রান।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission