সুপার এইটে টানা দুই ম্যাচ হারলেও সেমিফাইনালের স্বপ্ন এখনও টিকে আছে, তবে সেটা কাগজে-কলমে। সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোর সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
এই ম্যাচে আফগানদের শুধু হারালেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের দিকেও। সবমিলিয়ে সুপর এইটের শেষ ম্যাচের আগে বেশ চাপে বাংলাদেশ দল। তবে আজ রাতেই বাংলাদেশের সামনে সমীকরণটা ভালোভাবেই বুঝতে পারবে।
কারণ, রাতের ম্যাচে অজিদের কাছে যদি ভারত হেরে যায় তবে বাংলাদেশের সেমিতে ওঠার যে সম্ভাবনা তা শেষ হয়ে যাবে। তখন লড়াইটা হবে শুধু ভারত আর আফগানিস্তানের মধ্যে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যেকোনো মূল্যে হারাতে হবে আফগানদের। এরপর দেখা হবে দুদলের নেট রানরেট। যারা এগিয়ে থাকবে, তারাই যাবে সেমিতে।
তাই বলা যায় আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে সেমিফাইনালের অনেক হিসাবনিকাশ। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগেও ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তবে, এবারের লড়াইটা অন্য যেকোনো বারের চেয়ে বেশ ভিন্ন।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ নয়, ফেভারিটের তকমা গায়ে লাগিয়ে মাঠে নামবে আফগানিস্তান। অন্তত শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ই বলে দেয়, দল হিসেবে কতটা ছন্দে আছে আফগানরা। পরিসংখ্যানেও এগিয়ে রশিদ-নবীরা।
এখন পর্যন্ত ১১ বারের দেখায় ৬ জয় আফগানদের বাকি ৫টিতে জয় বাংলাদেশের। গত বছরের জুলাইতে ঘরের মাঠে আফগানদের বিপক্ষে সিরিজে অবশ্য ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তাদের হারিয়েছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। সেই আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করেই কাল মাঠে নামবে লাল-সবুজের দল।
আফগানদের হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় বাংলাদেশ। সোমবার (২৪ জুন) সহকারী কোচ নিক পোথাস বলেন, প্রতিটি ম্যাচেই আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে চাইবেন। আমরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবো। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের অনেক সাফল্য আছে। ওদের বিপক্ষে সিরিজও জিতেছি।
‘আপনি ক্রিকেটের মতো খেলায় আপনার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন, এটা অনেক সম্মানের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে অতীতে অনেক সাফল্যই আছে। আমরা তাই এই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ শেষ করতে চাই।’