আগামী মাসে পাকিস্তানে পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। যেখানে একই গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা রয়েছে আফগানিস্তানের।
কিছু দিন আগে এই ম্যাচ বয়কটের জন্য ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) আহ্বান জানিয়েছিল ১৬০ জন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ। তবে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের এই দাবি মেনে নেননি প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড। বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করছেন জস বাটলারও।
বাটলার বলেন, খেলোয়াড় হিসেবে যতটা সম্ভব এই ধরনের রাজনৈতিক অবস্থার খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা এর চেয়ে আরও বেশি জানে। আমি চেষ্টা করছি রব কি (ইংল্যান্ডের ছেলের দলের মহাপরিচালক) ও ওপরের অন্যদের সঙ্গে কথা বলে ব্যাপারটি বোঝার জন্য যে, তারা এটিকে কীভাবে দেখেন। আমার মনে হয় না, ম্যাচ বর্জন করা এটির পথে কোনো সমাধান।
তিনি আরও বলেন, এই ব্যাপারগুলো নিয়ে নিজেকে আরও শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করতে হয়, এই সংক্রান্ত নানা কিছু পড়ার চেষ্টা করতে হয়। এটা নিয়ে বেশ কিছু ভালো লেখা আছে, যা আমার নজরে পড়েছে। এ ছাড়াও বেশ কিছু লোকের সঙ্গে কথা বলেছি বিশেষজ্ঞ মতামত নেওয়ার জন্য।
মূলত, ২০২১ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার পর নারীদের ক্রিকেট খেলা বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান সরকার। এরপরই বিশ্বক্রিকেট মহলে শুরু হয় নানান সমালোচনা। যার ফলে গত বছর আফগানিস্তান সিরিজ স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া। এবার একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে ইংল্যান্ডও।
উল্লেখ্য, গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে হেরে যায় ইংল্যান্ড। একটা সময় মনে হয়েছিল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোয়ালিফাই করতে পারবে না ইংলিশরা। তবে শেষদিকে ভালো খেলে আসরে জায়গা করে নেয় তারা।
আরটিভি/এসআর