দক্ষিণ আফ্রিকা এইচপি (হাই-পারফরম্যান্স) দল আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসবে। সেই সিরিজের আগে বাংলাদেশ এইচপি দলের জন্য সব বিভাগেই কোচিং স্টাফ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এইচপি দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন ডেভিড হেম্প। পেস বোলিং কোচ কলি কলিমোরের নামও নিশ্চিত হয়েছে। নতুন করে রাজিন সালেহকে ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। এ ছাড়া পাকিস্তানের আরশাদ খান স্পিন বোলিং কোচ নিশ্চিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিসিবিতে এইচপির পুরো কোচিং স্টাফরা আলোচনায় বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সকল সদস্য। পরে এইচপির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম জানান, আসন্ন সিরিজের জন্য দ্রুতই স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এইচপি দলের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে আগামী ৪ মে থেকে অনুশীলন শুরু হবে। সেই সিরিজের দলে থাকা ক্রিকেটাররাই কেবল অনুশীলনে থাকবেন। এই সিরিজের জন্য ১৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে দল ঘোষণা করা হবে।
গত বছরের এইচপি দল থেকেও বেশ কিছু ক্রিকেটার এবারের দলেও থাকবেন। তবে তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন রয়েছে। কেননা এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার গত বছর ঘরোয়াতে পারফর্ম করেছেন। চলমান ডিপিএলেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। যে কারণে আসন্ন এইচপির স্কোয়াডে তার থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
এবারের এইচপি দলে মাহফুজুর রহমান রাব্বি, রাকিবুল হাসানরাও থাকবেন। এ ছাড়া চলমান ডিপিএলে ব্যাট হাতে দারুণ পারফর্ম করা মাহফিজুল ইসলাম রবিনও থাকতে পারেন এই দলে। ব্রাদার্সের হয়ে এই ব্যাটার করেছেন ৫১২ রান।
অফ স্পিনার পারভেজ জীবনেরও দলে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা চলমান ডিপিএলে বল হাতে ১৯ উইকেট শিকার করেছেন এই ক্রিকেটার। লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকীও থাকতে পারেন দলে। ডিপিএলে নিজের বোলিং দিয়ে তিনি নজর কেড়েছেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শেষ হলে এইচপির ক্রিকেটাররা কিছুদিন বিশ্রামে থাকবেন। এরপর পবিত্র ঈদুল আজহা শেষে ১০ জুন থেকে এইচপির মূল ক্যাম্প শুরু হবে। পুরো বছর জুড়েই এইচপির কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মাহবুবুল আনাম। ২৫ জনের মতো ক্রিকেটার ক্যাম্পে জায়গা পেতে পারেন।
আরটিভি/এসকে/এস