শহিদ আফ্রিদির সঙ্গে দানিশ কানেরিয়ার বিরোধ অনেক আগে থেকেই। আফ্রিদির বিরুদ্ধে ক্রিকেটজীবন শেষ করে দেওয়া, ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ করেন পাকিস্তানের স্পিন বোলার কানেরিয়া। এবার পেহেলগামের হামলা নিয়েও আফ্রিদিকে ছাড়লেন না তিনি।
পর্যটকদের হামলার দায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর আফ্রিদি চাপিয়ে দিয়েছিলেন। তার সেই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন কানেরিয়া।
এই বিষয়ে কানেরিয়া বলেন, ‘আফ্রিদি সবসময় চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলে। আমার মতে আফ্রিদিকে ভারতীয় টেলিভিশন বা কোনো মঞ্চেই সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। এই আফ্রিদিই আমায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দেয়। আমার সঙ্গে খাবার ভাগ করে খেতেও রাজি হয়নি। ওর আচরণ আমার অত্যন্ত অপমানজনক মনে হয়েছিল।
এর আগে, এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেন, ভারতে বাজি ফাটলেও পাকিস্তানের ঘাড়ে দোষ চাপানো হয়। কাশ্মীরে আট লাখ সেনা রয়েছে ভারতের। তা-ও এমন ঘটনা ঘটল। এক ঘণ্টা ধরে সন্ত্রাসবাদীরা হত্যালীলা চালিয়েছে। সে সময় একজন জওয়ানও সেখানে যায়নি। তার মানে ভারতীয় সেনা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেই পাকিস্তানকে দোষ দিতে শুরু করে।
ভারতীয় সেনাদের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন আফ্রিদি। তিনি আরও বলেন, ভারত নিজেই সন্ত্রাসবাদ চালায়। দেশের মানুষদের হত্যা করে। তারপর পাকিস্তানের ঘাড়ে দোষ চাপায়।
পেহেলগামে হামলা নিয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় হিন্দু ক্রিকেটার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে আক্রমণ করেন। কানেরিয়া বলেন, ‘পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানের কোনো ভূমিকা যদি নাই থাকে, তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এখনও নিন্দা করলেন না। কেন আপনাদের সেনাবাহিনী হঠাৎই জেগে উঠেছে? আসলে ভিতরে ভিতরে আপনারা সত্যিটা জানেন আপনারাই জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছেন এবং লালনপালন করছেন। লজ্জা হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, কানেরিয়া এখন আমেরিকায় বসবাস করছেন। পাকিস্তানের হয়ে ৬১টি টেস্ট খেলে ২৬১ উইকেট পেয়েছেন কানেরিয়া। এ ছাড়া ১৮টি ওয়ানডে খেলে তার উইকেট ১৫টি। কানেরিয়ার এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পাকিস্তান সরকার এই বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আরটিভি/এসকে