ঢাকাFriday, 13 June 2025, 30 Jyoishţho 1432

প্রথম পর্ব

মিরাজই জাতীয় দলের নেতৃত্বের যোগ্য দাবিদার: ইমরুল কায়েস 

মো.সাঈদুর রহমান

রোববার, ০৪ মে ২০২৫ , ১২:৫২ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

২০০৮ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক করেছিলেন ইমরুল কায়েস। দেশের হয়ে অবদান রাখার জন্য মরিয়া হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে সবচেয়ে সেরা ক্রিকেটার হওয়ার বিপরীতে সবচেয়ে অবহেলিত ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত লাভ করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।

বিজ্ঞাপন

ইমরুল কায়েস বাংলাদেশের ইতিহাসের এক মাত্র ক্রিকেটার, যিনি সিরিজ ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ সেরা হয়েও স্কোয়াডে জায়গা পাননি। বর্তমানে ডিপিএল ও বিপিএলে খেলছেন। সম্প্রতি দেশের বর্তমান ক্রিকেটের নানা বিষয়ে নিয়ে আরটিভির সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছেন ইমরুল কায়েস। আজ রোববার (৪ এপ্রিল) থাকছে দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব।

আরটিভি: আসসালামু ওয়ালাইকুম, কেমন আছেন?

বিজ্ঞাপন

ইমরুল কায়েস: ওয়ালাইকুম সালাম, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

আরটিভি: গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দেশের অন্য সবপ্রতিষ্ঠানের মতো বিসিবিতেও অনেক পরিবর্তন জনগণ দেখতে পেয়েছে। আপনি মাঠে থেকে এবারের ডিপিএলে খেলার মানের কতটা পরিবর্তন দেখলেন?

ইমরুল কায়েস: খেলায় মানের পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু আপনি যদি স্ট্রাকচারগতভাবে বিবেচনা করেন, তাহলে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বিজ্ঞাপন

আরটিভি: ডিপিএলে শাইনপুকুরের ম্যাচে একটি বির্তকিত রান আউট হয়েছিল। এটা প্রমাণ করার জন্য মিরপুরে এনে অভিনয় করানো কতটা যৌক্তিক এবং আম্পায়ারদের জায়গা থেকে এটা করা উচিত হয়েছে কি?

বিজ্ঞাপন

ইমরুল কায়েস: দেখেন, এখানে আম্পায়ারদের কিছু করার নেই। তাদের দোষ দেওয়াটা ভুল হবে। এটা আসলে দলের ভুল। 

আরটিভি: তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আবার কমিয়ে আনা, এই বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

ইমরুল কায়েস: দেখুন এটা হিম অব দ্য মোমেন্ট। এখানে আমি সৈকত ভাই বা হৃদয় কাউকেই দোষ দিব না। খেলার মাঠে খেলোয়াড় এবং আম্পায়ারদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পরে। কিন্তু এরপরে যেগুলো ঘটেছে সেগুলো হাস্যকর বিষয়।

‘আপনি একটা ছেলেকে পাঁচ নিষিদ্ধ করতেই পারেন। কিন্তু শাস্তি দিয়ে কমানো আবার শাস্তি দেওয়া, এগুলো পেশাদারিত্বের মধ্যে পড়ে না। আর কারও চাপে পড়ে আপনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন, এটা ঠিক না। আইসিসি নিয়ম অনুসারে ক্রিকেটার অপরাধ করলে শাস্তি পাবে। কিন্তু আপনি সেই সিদ্ধান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি। মানে, আপনার সাহস নেই।’

আরটিভি: হৃদয় ইস্যুতে সকল দলের ক্রিকেটারদের ডেকে মিরপুরে প্রেস কনফারেন্স করেছিলেন তামিম ইকবাল। এটা নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে, বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?

ইমরুল কায়েস, আসলে ওদিন তো একটা বিষয় ছিল না। অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ডিপিএলের মান, আম্পায়ার আরও বিভিন্ন ইস্যু। যে বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেটি হলো, প্লেয়ারদের পেমেন্ট। যাতে তাড়াতাড়ি পেমেন্টগুলো পায়।

আরটিভি: ডিপিএলে প্রতিবারই ভালো খেলে আসছেন এনামুল হক বিজয়। এরপর মিডিয়ার চাপে দলে নেওয়া হয় তাকে, কিন্তু এক ম্যাচ খারাপ খেললেই বাদ পড়েন তিনি। নামটা এনামুল হক বিজয় বলেই কি এমনটা হয়?

ইমরুল কায়েস: শুধু এনামুল না। এরকম আরও অনেক এনামুলই আছে যারা পারফরম্যান্স করে দলে সুযোগ পাচ্ছেন না। এগুলো ঠিক না, আপনি একটা ছেলেকে নিচ্ছেন তাকে দুই তিনটা সিরিজ সুযোগ দেন। আপনি নতুনদের বছরের পর বছর সুযোগ দিচ্ছেন, কিন্তু একটা অভিজ্ঞ ছেলেকে সুযোগ দিচ্ছেন না, এটা ঠিক না। সত্যি বলতে ঘরোয়া ক্রিকেটে বিজয়ের মতো ক্রিকেটার নাই।

আরটিভি: ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হওয়ার পরও দলে জায়গা পাননি। এগুলোর পেছনে কি কোনো রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করে?

ইমরুল কায়েস: রাজনৈতিক প্রভাব আছে কি না জানি না। তবে নির্বাচকদের অপছন্দের হলে এমন হয়। আমার মনে হয় এসব নির্বাচকদের সরিয়ে দেওয়া উচিত।

আরটিভি: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নতুন অধিনায়ক খুঁজছে। এর নির্বাচন প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত?

ইমরুল কায়েস: অবশ্য, পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। যে সবকিছু সামলে পারফর্ম করতে পারবে তাকেই অধিনায়ক করা উচিত। শান্তকে ছোট করার জন্য বলছি না, যদি শান্ত ভালো পারফর্ম করে তাহলে ওকেই রাখা উচিত। নাহলে ওকে সরিয়ে যে পারফরম করছে তাকে দেওয়া উচিত।

আরটিভি: সম্ভাব্য নতুন অধিনায়কদের তালিকায় নাম রয়েছে লিটন দাস-তাসকিনসহ বেশকয়েকজনের নাম। কিন্তু বিপিএলে খুলনাকে নেতৃত্ব দেওয়া মিরাজকে নিয়ে সেইভাবে আলোচনা হচ্ছে না? মিরাজ কি জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না?

ইমরুল কায়েস: দেখুন, আমার কাছে মনে হয় জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার একমাত্র যোগ্য দাবিদার মিরাজ। সে এখন পারফর্ম করছে এবং দলকে পরিচালনার সক্ষমতা রয়েছে তার। অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে সে (মিরাজ) অধিনায়কত্ব করে আসছে, তার জন্য এটা সহজ হবে।

আরটিভি: বিপিএলে গত কয়েক আসরে দুর্দান্ত খেলছেন নুরুল হাসান সোহান, নেতৃত্ব গুণও চোখে পড়ার মতো। টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা ও নেতৃত্ব পাওয়ার দাবি রাখেন কি সোহান?

ইমরুল কায়েস: দেখেন সোহানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা মূলত লিটনের সঙ্গে। আর দলে এখন তিনজন উইকেট কিপার। তাই হয়তো সুযোগ পাচ্ছে না সোহান। তবে ও একটা সময় সুযোগ পেয়েছিল, ভালোও করেছে। কিন্তু ওকে আরও সময় দেওয়া উচিত ছিল।

আরটিভি/এসআর/এআর

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |