এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তবে মাঠে ঢোকার প্রক্রিয়া ও ভেতরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে হতাশ হয়েছেন অনেক সমর্থক।
স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময় টিকিটধারী দর্শকদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেকের অভিযোগ, নির্ধারিত গেটগুলো ঠিকভাবে খোলা হয়নি বা যথাযথভাবে পরিচালিত হয়নি। এছাড়া পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনার অভাবে অনেক দর্শকই বিভ্রান্ত হয়েছেন।
ভেতরে বসার জায়গা, পানির ব্যবস্থা ও টয়লেট ব্যবহার নিয়েও অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কয়েকজন দর্শক বলেন, বড় একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে এমন বিশৃঙ্খলা দুর্ভাগ্যজনক এবং ভবিষ্যতে আরও পেশাদার ব্যবস্থাপনা আশা করেন তারা।
বাংলাদেশ ফুটবলের সাম্প্রতিক উত্তরণে এই ম্যাচ ছিল গুরুত্বপূর্ণ, তাই সমর্থকদের এমন অভিজ্ঞতা হতাশাজনক বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দর্শকদের অভিযোগ, স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ছিল চরম অব্যবস্থাপনার শিকার।
এক ক্ষুব্ধ দর্শক বলেন, “ভেতরের পরিস্থিতি জঘন্য। পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, খাবার পাওয়া যাচ্ছে না, সিটে বসার উপায় নেই—প্রতিটি সিটে পানি জমে আছে। টিকিটে সিট নম্বর লেখা থাকলেও সেই অনুযায়ী বসার কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। এটা একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ, অথচ এমন নড়বড়ে ব্যবস্থাপনা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। সত্যিই অবিশ্বাস্য।”
অনেকেই জানান, দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে হয়েছে। এরপর ভেতরে গিয়ে এমন দুরবস্থা দেখে হতাশ হয়েছেন সবাই। অনেকে বলছেন, এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে মাঠমুখো হওয়ার আগ্রহে প্রভাব ফেলবে।
ভক্তদের মতে, দেশের ফুটবলে নতুন আশার আলো জ্বললেও মাঠে সুষ্ঠু আয়োজন না থাকলে তা ধরে রাখা কঠিন হবে।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয় সিঙ্গাপুর। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে, তবে স্টেডিয়ামে প্রবেশ ও অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে দেখা দেয় চরম অসন্তোষ।
দর্শকদের অভিযোগ, স্টেডিয়ামের ভেতরে ছিল চরম বিশৃঙ্খলা। একজন দর্শক বলেন, “ভেতরের অবস্থা এক কথায় জঘন্য। খাবার নেই, পানি নেই, সিটগুলো ভিজে, বসার উপায় নেই। টিকিটে সিট নম্বর থাকলেও সেভাবে কাউকে বসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক ম্যাচে এমন দুরবস্থা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”
তিনি জানান, আগেভাগে টিকিট কেটেও ভেতরে ঢোকার পর কোনো পরিকল্পিত ব্যবস্থার দেখা মেলেনি। “ম্যাচ সাতটায়, অথচ গেট পাঁচটায় বন্ধ। তখন হাজার হাজার মানুষ স্টেডিয়ামের ভেতরে আটকা। আমার ১৪ বছরের সন্তান এক ঘণ্টা ধরে পানির জন্য কাঁদছে, আর আমি বাইরে থেকে আর ঢুকতেই পারছি না,”— বলেন তিনি।
আরেক দর্শকের ভাষায়, “যখন গেটে ঢুকছিলাম, তখন আধা ঘণ্টা যুদ্ধ করতে হয়েছে। ভিজে একাকার হয়ে গেছি। অথচ যাদের এসব দেখভালের দায়িত্ব, তারা আরামে এসি রুমে বসে খাচ্ছেন।”
দর্শকরা মনে করেন, মাঠে এমন বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা থাকলে দেশের ফুটবলের নবজাগরণে সাধারণ মানুষের আস্থা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।
এছাড়া পানির মূল্য নিয়েও চরম অসন্তোষ দেখা গেছে দর্শকদের মধ্যে। একজন ক্ষুব্ধ দর্শক বলেন, “স্টেডিয়ামের ভেতরে ২ লিটারের পানির বোতলের জন্য ৬০০ টাকা চাওয়া হয়েছে! এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এমন দাম রাখা কীভাবে সম্ভব?”
অনেকেই অভিযোগ করেন, টিকিট কিনে মাঠে ঢুকেও মৌলিক প্রয়োজন যেমন পানি বা খাবার—তার নিশ্চয়তা ছিল না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব স্পষ্টভাবে চোখে পড়েছে বলেই মনে করছেন তারা।
আরটিভি/এসকে