দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ড্র হওয়ার পর দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেই নির্ধারিত হবে সিরিজের ভাগ্য। তবে কলম্বো টেস্টে বাংলাদেশ পড়েছে কঠিন চাপে। প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রানেই গুটিয়ে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কা পেয়েছে বড় লিড। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিং শুরু করেছে শান্তর দল।ইনিংস হারের শঙ্কা নিয়ে কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করলো টাইগাররা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৮.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান। লিটন ১১ রানে ব্যাট করছেন। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ। ইনিংস হারের শঙ্কা নিয়ে কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করেছে শান্ত বাহিনী। প্রথম ইনিংসে শান্তদের ২৪৭ রানের জবাবে ৪৫৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে আরও ৯৬ রান করতে হবে সফরকারীদের।
১৩ রান করে অপরাজিত আছেন লিটন দাস। চতুর্থ দিনে সঙ্গী হিসেবে উপরের সারীর কোনও ব্যাটারকে পাবেন না তিনি। ফলে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামবেন লিটন। এর আগে ২১১ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। টানা তিন ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ার পর এদিন আগ্রাসী শুরু করেন এনামুল হক বিজয়। তবে ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই টাইগার ওপেনার। তাতে দুই টেস্টে চার ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ২৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বিজয়ের আউটের পর চা বিরতিতে যায় দল। ফিরে এসে সাদমান ইসলামের উইকেটও হারায় বাংলাদেশ। ২৪ বলে ১২ রান করেন তিনি।
এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই জুটিকে ৩২ রানের বেশি করতে দেননি ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৩৩ বলে ১৫ রান করে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন মুমিনুল। এর কিছুক্ষণ পর এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে নাজমুল হোসেন শান্তকেও সাজঘরে পাঠান ধনাঞ্জয়া। দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫৩ বলে ২৬ রান করে মুশফিকের বিদায়ের পর ১৬ বলে ১১ রান করে আউট হন মিরাজ। তার আউটের পর দিনের খেলা সমাপ্তির ঘোষণা দেন আম্পায়াররা।
আরটিভি/এসকে/এআর