ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে খেলতে মাত্র ক’দিন আগেই দেশ ছেড়েছিলেন তামিম ইকবাল। এতে কাউন্টি ক্লাব এসেক্স ঈগলসের হয়ে আট ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ ড্যাশিং ওপেনারের। তবে দলটির হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই দেশে ফিরছেন কেন?
এর কারণ জানিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে এসেক্সের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ব্যক্তিগত কারণে জরুরি ভিত্তিতে ক্লাব ছাড়ছেন তামিম। আমরা তার মঙ্গল কামনা করছি। এ ওপেনারের ব্যক্তিগত বিষয়কে শ্রদ্ধা দেখানোরও অনুরোধ করছি।
পরে তামিমের ফেরার কারণ নিয়ে বাংলাদেশের একাধিক শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ঢালাও প্রতিবেদন ছাপায়। এতে উল্লেখ করা হয়, সোমবার সপরিবারে রাতের খাবার খেয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। ঠিক তখনই কয়েকজন তাদের ধাওয়া করে। দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে বাঁচেন তারা। এ ঘটনার পর গেলো রাতেই লন্ডন থেকে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে দেশের বিমান ধরেছেন ড্যাশিং ওপেনার।
পরশুর ঘটনাটি লন্ডনের ঠিক কোন জায়গায় ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডের (বিসিবি) একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড পরিচালক বলেন, তামিম ও তার পরিবারকে ধাওয়া করেছিল কয়েকজন লোক। দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ায় তাদের কিছু হয়নি। এ ঘটনার পরই তামিম দেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। আক্রমণকারীদের হাতে অ্যাসিড ছিল বলেও শুনেছি।
এ কর্মকর্তার ধারণা, তামিমের স্ত্রী মাথায় হিজাব পরেন। হয়তো সে কারণেই তাদের টার্গেট করা হতে পারে।
এ ব্যাপারে এখনো পরিষ্কারভাবে কিছু জানাননি তামিম ইকবাল। এ নিয়ে তার বড় ভাই নাফিস ইকবাল ও চাচা আকরাম খান বলেন, দেশে ফিরে তামিম নিজেই এর কারণ জানাবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডের রাস্তাঘাটে ভিন্ন মতাবলম্বী ও বর্ণের মানুষের ওপর অ্যাসিড ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটছে।
ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে গেলো রোববার কেন্টের বিপক্ষে এসেক্স ঈগলসের হয়ে অভিষেক হয় তামিমের। ওই ম্যাচে এক ছক্কাসহ ৭ রান করেন তিনি।
গেলো ৭ জুলাই স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ও পুত্র আরহামকে নিয়ে ইংল্যান্ডে যান তামিম ইকবাল। সপরিবারে থাকতে লন্ডনে এক মাসের জন্য একটি বাসাও ভাড়া নেন তিনি। তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল আগস্টের শুরুর দিকে।
ডিএইচ