• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৮ ফুট লম্বা চুলে আলিয়ার বিশ্বরেকর্ড
সুস্থ থাকতে এসির তাপমাত্রা যত রাখবেন
বাহিরের তাপমাত্রায় অনেকেই রোজ এসি চালান। কিন্তু অনেকেই জানেন না, ঠিক কত তাপমাত্রায় এসি চালালে শরীর সুস্থ থাকবে। শরীর ভালো রাখতে এসির তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার নিচে কমানো উচিত নয়।  গরমের সময় কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এসি চালাবেন, এটা বলা যাবে না। তবে চেষ্টা করতে হবে বাইরের তাপমাত্রা যত রয়েছে, তার থেকে যেন এসির টেম্পারেচারের ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রির বেশি না হয়। অর্থাৎ দুপুরের দিকে যদি বাইরের তাপমাত্রা ৪০ থাকে, তাহলে আপনার এসি চালাতে হবে ২৭-২৮ ডিগ্রিতে। এই নিয়মটা মেনে চললেই কিন্তু বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রার একটা সামঞ্জস্য থাকবে। ফলে হুট করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে। এ সময় রাতে এসি চালাতে হলে মোটামুটি ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে চালান। তারপর স্লিপ মোড অন করে দিন। এই কাজটি করলে ধীরে ধীরে বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী এসি নিজের টেম্পারেচার ঠিক করে নেবে। ফলে ঘুমের মধ্যে আর ঠান্ডা লাগার ভয় থাকবে না। আর যাদের এসিতে স্লিপ মোড নেই, তারা ভোর বেলায় উঠে এসি বন্ধ করে পাখা চালিয়ে দিন। এই কাজটা করলেই কিন্তু সুস্থ থাকবেন। শারীরিক সমস্যা থাকলে তাপমাত্রার আরও হেরফের হয়। এসি থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। সর্দি কাশি ছাড়াও ক্রনিক রোগের আশঙ্কা থাকে। তাই শোয়ার সময় এসির তাপমাত্রা নির্দিষ্ট একটি তাপমাত্রার থেকে কমানো উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শোয়ার সময় এসির তাপমাত্রা ৬৫-৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে থাকা ভালো। অর্থাৎ সেলসিয়াসের হিসেবে এটি ১৮ ডিগ্রি থেকে ২০ ডিগ্রির মধ্যে‌। তবে এই তাপমাত্রা একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে প্রযোজ্য। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে রাখা উচিত। সিওপিডি ছাড়াও অ্যাজমা রোগীদের জন্য ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আদর্শ। এছাড়াও বাড়ির ছোট্ট সদস্য সর্দিকাশিতে ভুগলে তাকে ২৫-৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখুন। এছাড়াও লক্ষ রাখতে হবে, এসি চলাকালীন গলা মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে কি না। তেমনটা হলে এসির তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিন। 
বাচ্চাদের জন্য হেলথ ড্রিংকস কতটা নিরাপদ, জানালেন বিশেষজ্ঞ
বাঙ্গি দিয়ে তৈরি করুন মজাদার কুলফি
১৪০ মিটার দীর্ঘ রুটি বানিয়ে ফরাসিদের রেকর্ড
গরমে আরাম দেবে লাউয়ের হালুয়া
ঘন ঘন ওয়েট টিস্যুর ব্যবহারে হতে পারে বিপদ
তীব্র গরমে ঘেমে যখন একেবারে নাজেহাল অবস্থা, তখন কিছুটা স্বস্তি পেতে অনেকেই ঘন ঘন মুখ মুছে নেন ওয়েট টিস্যুতে। কিন্তু জানেন কি, ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহার মোটেই ভালো নয়। উপকারের থেকে এতে অপকারই বেশি হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি’র গবেষক জন কুক মিলসের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই কিছু তথ্য। তার মতে, ওয়েট ওয়াইপস বা টিস্যু ব্যবহার করলে অ্যালার্জির সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কারণ হিসেবে জানা গেছে এই বস্তুটির আছে সোডিয়াম লরিল সালফেট। এটি স্পর্শকাতর ত্বকের জন্যে খুবই ক্ষতিকর। ওয়েট টিস্যুর মধ্যে থাকা আর রাসায়নিক মিথাইল ক্লোরিসেথিয়া জোলাইন বড়দের ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। গবেষকদের মতে ঘন ঘন ওয়েট ওয়াইপস ব্যবহার করলে এর প্লাস্টিক ও রাসায়নিক ধীরে ধীরে শরীরের নানা কোষে জমতে থাকে। ফলে ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এই টিস্যু। আবার একই ওয়াইপস বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া কমার বদলে উল্টো ছড়াতে পারে। অধিকাংশ ওয়াইপসে রয়েছে প্লাস্টিকের তন্তু যা প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল নয় এমন পদার্থ রয়েছে। যা কিন্তু পরিবেশের জন্যই ক্ষতিকারক। এই ওয়েট টিস্যু মাটিতে যেহেতু মিলিয়ে যায় না, এতে পরিবেশ দূষিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, টিস্যুর পরিবর্তে সাধারণ রুমাল পানিতে ভিজিয়ে মুখে ব্যবহার করা ভালো। আর মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও পেট্রোলিয়াম জেলি ও ভিজা রুমাল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
নীল রঙের লবণ খেলে কী হয় জানেন
লবণ রান্নার জন্য খুবই দরকারি। লবণ ছাড়া খাবার স্বাদহীন। সাধারণভাবে আমরা সাদা রঙের লবণ দেখে এবং খেয়ে অভ্যস্ত। সাদা লবণই বাড়িতে আনা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আয়োডাইজড এই লবণই রান্নায় পড়ে। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে লবণ।  যেমন অনেক বাড়িতে সৈন্ধব লবণ এবং বিটনুন খাওয়া হয়। এগুলো গোলাপি লবণ হিসাবেও পরিচিত। কিন্তু যেটা খুব কম মানুষই জানেন, সেটা হলো নীল লবণ। অনেকেতো অবাকও হতে পারেন এটা শুনে যে লবণ নীল রঙেরও হয়।  নীল রঙের লবণ খেলে শরীরে কেমন প্রভাব পড়বে জেনে নিন- নীল রঙের লবণ আসলে রয়েছে। আর তার কদরও সীমাহীন। নামকরা রাঁধুনিদের কাছে নীল লবণ মানে শুধুই লবণ নয়, একটা আভিজাত্য। এবং সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের কাছেও তাই। কিন্তু জানেন কি এই লবণ কোথায় পাওয়া যায় এবং এই লবণের বিশেষত্ব? নীল লবণ ভারতে পাওয়া যায় না। তবে এশিয়ারই একটি দেশে পাওয়া যায়। এটি হলো ইরান। এই দেশে এই বিশেষ লবণ পাওয়া যায়। নীল লবণের পোশাকি নাম পারসিয়ান সল্ট। প্রায় ২ হাজার বছর আগে ইরানে এই লবণ আবিষ্কার হয়। তার ব্যবহারও শুরু হয়। তারপর থেকে এই লবণ খনি থেকে তোলা চলছে। খনিতে জমাট বাঁধা এই লবণ তুলে এনে রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার পরে এই নীল লবণ তৈরি হয়। এই লবণ নীল রঙের দেখতে হয়, তার কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। এই লবণে ভরা থাকে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এ লবণ দেখতেও খুব সুন্দর বলে মনে করেন অনেকে। ফলে তা খাবার টেবিলে অন্য একটা মাত্রা যোগ করতে পারে। সেই সঙ্গে এর খাদ্যগুণও অনেক। খেতে অবশ্য সাধারণ লবণের মত নয়, একটু অন্যরকম। খেলে খনিজের স্বাদ স্পষ্ট। তবে খেতে ভালো বলেই মত সকলের। জিভে গেলে একটা তাজা অনুভূতি দেয় এই লবণ। 
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২০ উপায়
চলছে বৈশাখ মাস। এ সময় ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত অনেক বেড়ে যায়। আর বজ্রপাতের কারণে প্রাণহানিসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বৈশাখের তীব্র গরমে স্বস্তির বৃষ্টি বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রপাতে মৃত্যু বেড়েই চলেছে। বজ্রপাতের নির্দিষ্ট সময় না থাকলেও ঝড়-বৃষ্টির সময় এর সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। তাই কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে বজ্রপাতে প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।  চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২০টি উপায়- ১. বিদ্যুতের খুঁটি, লাইন এবং উঁচু জায়গা থেকে দূরে থাকুন। ২. পানি থেকে সরে আসুন। নৌকায় থাকলে ছাউনির নিচে প্রবেশ করুন। ৩. আপনার ভবনে যদি বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে বজ্রঝড়ের সময় সবাই আলাদা আলাদা কক্ষে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করুন। ৪. মেঘের আওয়াজ শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ৪. গাছের নিচে, টেলিফোন বা কোনো ধরনের সংযোগের খুঁটির পাশে দাঁড়াবেন না। ৫. গাড়ি থেকে বের না হয়ে ভেতরে আশ্রয় নিতে পারেন। ৬. ফাঁকা জায়গা, মাঠ, খেত ও যাত্রী ছাউনিতে থাকবেন না। ৭. পাহাড়ের চূড়া বা সমুদ্রসৈকতে অবস্থান করা ঠিক নয়। ৮. মুঠোফোন, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ ও বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ রাখুন। ৯. টিনশেড বাড়ি থেকে সরে গিয়ে পাঁকা বাড়িতে অবস্থান নিতে পারেন। ১০. বাড়ির জানালা বন্ধ রাখুন। বজ্রপাতের সময় জানালা স্পর্শ করা যাবে না। ১১. বাড়ি নিরাপদ রাখতে আর্থিং সংযুক্ত রড মাটিতে স্থাপন করতে হবে। ১২. বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না। ১৩. বজ্রপাতের সময় শুয়ে পড়তে হবে। ১৪. বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিকে স্পর্শ না করাই ভালো। ১৫. বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন না থামা পর্যন্ত নিরাপদে থাকা বাঞ্ছনীয়। ১৬. গভীর ও উলম্ব আকৃতির মেঘ দেখলেই বুঝবেন বজ্রঝড় হতে পারে। যদি জরুরি প্রয়োজন থাকেই তাহলে রাবারের জুতো পরে বাইরে যাবেন। ১৭. গ্রামীণ অঞ্চলে মাঠে অবস্থান করলে পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে দাঁড়ান। তারপর কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসুন। বজ্রপাতের সময় এভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। ১৮. উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে। ১৯. বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনো পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। পানি খুব বেশি বিদ্যুৎ পরিবাহী। ২০. বজ্রপাতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যদি আক্রান্ত হন তাহলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। বজ্রপাতে আক্রান্ত হলেই সবাই তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান এমন না। তাই দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। বজ্রপাতে আহত হলে না ভেবেই ওই ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালান। 
গরমে দই খেলে পাবেন যেসব উপকারিতা
দই একটি দুগ্ধজাত পণ্য যা গাঁজানো দুধ দিয়ে তৈরি। দইয়ে উপস্থিত ব্যাকটিরিয়া ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে, যা এটিকে টক স্বাদ এবং ক্রিমি অনুভব দেয়। দই বহু সংস্কৃতির প্রধান খাদ্য এবং এটি বহু বছর ধরে প্রত্যেকের ডায়েটে রয়েছে। গরমে দই খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। জেনে নিন উপকারিগুলো- দইয়ের প্রোবায়োটিক অনাক্রম্যতা, কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ভালো ব্যাকটেরিয়া শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।  নিয়মিত দই খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। প্রতিদিন দই খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে। এটি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা এবং হজমযুক্ত ব্যক্তিদের জন্যও ভালো।  দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে এবং অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। দই হজমে উন্নতি করতে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রদাহ এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের জন্য দই একটি খুব কার্যকর উপাদান।  দইয়ের শীতল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গ্রীষ্মের রেসিপিগুলির জন্য দুর্দান্ত উপকরণ। এটি কেবল আপনার শরীরকে উত্তাপ রোধে সাহায্য করে, তা কিন্তু নয়। এটি খিদে সঠিকভাবে পরিচালনা করে আপনার ডাইনিং অভিজ্ঞতাকে উপভোগ্য করে তোলে। দই ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস যা প্রতিদিনের চাহিদার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ সরবরাহ করতে পারে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা পেশী বৃদ্ধি এবং টিস্যু মেরামতের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে। এটিতে ভিটামিন বি ১২ রয়েছে যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্রিয়ায় সহায়তা করে। দইয়ে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে বা কোলন এবং স্তন ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে।   দইয়ে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন উপাদান আমাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য খিদে মেটায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে, এইভাবে ওজন পরিচালনায় সহায়তা করে।  দই কার্যকরভাবে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ এবং ফ্লুর মতো শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। 
যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে
ভিটামিন এবং প্রোটিনের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামও মানুষের শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। মানব শরীরে ২০৬টি হাড় আছে, আর এই হাড়গুলোকে শক্ত এবং মজবুতভাবে ধরে রাখার জন্যই প্রয়োজন ক্যালসিয়াম। তবে অনেক সময় শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি ঘটে যায়, যা চট করে বোঝা যায় না। এই প্রতিবেদনে তাই আপনাকে জানানো হবে কোন কোন উপসর্গ দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে রয়েছে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। পেশী ক্র্যাম্প ও খিঁচুনি: আপনার শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকে তাহলে আপনার পেশীতে খিচুনি বা ক্র্যাম্পের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত এই সমস্যা দেখা যায় শারীরিক পরিশ্রম করার সময় অথবা দীর্ঘক্ষন শুয়ে থাকার পর। একবার পেশিতে টান ধরলে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে তা স্বাভাবিক হতে। দুর্বলতা: যদি আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে, তাহলে কম পরিশ্রম করলেও আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে পেশিগুলি সচল থাকে না, ফলে দুর্বলতা বা অলসতার সৃষ্টি হয় শরীরে। ভঙ্গুর নখ: ক্যালসিয়ামের ঘাটতির সবথেকে বড় প্রমাণ হল ভঙ্গুর নখ। যদি হাত অথবা পায়ের নখ খুব সহজেই ভেঙে যায় অথবা পাতলা হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব স্পষ্ট। অসাড়তা: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে হাতের আঙুল, পায়ের আঙুল, ঠোঁট অথবা জিভে অসাড়তা অথবা পিন ফোটানোর মতো অনুভূতি লক্ষ্য করা যায়। এমন কোনও অনুভূতি যদি আপনার হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে ভীষণভাবে। কার্ডিয়াক অ্যারিথোমিয়াস: অনেকেই জানেন না শুধু হাড় নয়, হৃদযন্ত্রের সঙ্গেও ক্যালসিয়ামের সম্পর্ক ভীষণ গভীর। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে অস্বাভাবিক বুক ধরফর, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, বুকের মধ্যে ঝাঁকুনির অনুভূতি হতে পারে। অস্টিওপোরোসিস: যেহেতু ক্যালসিয়াম হাড়কে সুস্থ রাখে তাই ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে খুব সহজেই হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বয়সের সাথে সাথে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে নিতম্ব, মেরুদন্ড বা কবজির হাড় দুর্বল হয়ে যায়। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি যেভাবে পূরণ করবেন- ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রতিদিনের ডায়েটে দুধ, দই অথবা পনির রাখতেই হবে আপনাকে। এছাড়া বাদাম, পালং শাক, তিলের বীজ, চিয়াকে খাদ্য তালিকায় রাখলে আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হতে পারে খুব সহজে।
গরমে সূর্যের তাপে হতে পারে চোখের বড় ক্ষতি
গরমের কারণে শুধু ত্বক বা চুলের ক্ষতি হয় না, একই সঙ্গে ক্ষতি হতে পারে চোখেরও। সূর্যের কড়া রশ্মির মধ্যে রয়েছে আলট্রাভায়োলেট অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি এ ও বি। ইউভিএ ও ইউভিবি-র প্রভাবে চোখের নানা বিপদ হতে পারে। এমনকি চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই চোখ বাঁচাতে কিছু কাজ না করলেই নয়। গ্রীষ্মের মৌসুমে চোখ বাঁচাতে যা করণীয়- ইউভি ব্লকিং সানগ্লাস- সাধারণ সানগ্লাস পরলে লাভ হবে না। বরং ইউভি রশ্মি ঠেকাতে পারে এমন সানগ্লাস এই সময় পরতে হবে। ৯৯ থেকে ১০০ শতাংশ ইউভি রশ্মি প্রতিরোধী সানগ্লাস কিনতে হবে। বড় হ্যাট- টুপি নয়, একটি বড় ছায়া দেয় এমন হ্যাট কিনে নিন। এই হ্যাট মাথায় পরলে চোখও রেহাই পায়। এতে চোখের মধ্যে সরাসরি সূর্যের রশ্মি বা তাপ এসে লাগে না। ফলে চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বারোটা থেকে তিনটার রোদে কম বেরনো- দুপুর বারোটা থেকে বিকাল তিনটার রোদে কম বের হলে ভালো হয়। একান্ত কাজ থাকলে বেরতো হতেই হয়। সেক্ষেত্রে যতটা কম বের হওয়া যায়, ততটাই ভালো। পানি, বালি ও বরফ থেকে দূরে থাকা- এই তিনটি উপাদান বেশি পরিমাণে ইউভি রশ্মি প্রতিফলিত করে। তাই এর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। এই তিনটির মধ্যে থাকলে চোখে সানগ্লাস পরে থাকা ভালো। যতটা সম্ভব ছায়ায় থাকা- রোদের মধ্যে অযথা বেশি সময় না ঘোরাই ভালো। বরং যতটা সম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকলে তা চোখের জন্য ভালো। পাশাপাশি শরীরের জন্যও উপকারী এই অভ্যাস। ওষুধের জের- কিছু ওষুধের জেরে চোখ অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারে। ফলে ইউভি রশ্মির আক্রমণে সহজেই চোখের নানা রোগের আশঙ্কা থাকে। তা চোখ বাঁচাতে চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধগুলোর ব্যাপারে পরামর্শ নেওয়া ভালো। নিয়মিত চোখ পরীক্ষা- গরমকালে একটু ঘন ঘন চোখের পরীক্ষা করানো ভালো। এতে চোখের কোনও সমস্যা হলে তা হাতে সময় থাকতেই সারিয়ে ফেলা যায়।
এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন
এই গ্রীষ্মের তাপদাহে ঘরে বাহিরে কোথাও যেন স্বস্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতে অনেকেই দ্বারস্থ হচ্ছেন এসির দোকানে। কিন্তু এসি কেনার আগে এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে নিন, তা নাহলে কিন্তু ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলটাও বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে। জেনে নিন বিষয়গুলো- এসিতে দুই ধরনের কয়েল ব্যবহার করা হয়, তামার কয়েল বা অ্যালুমিনিয়াম কয়েল। বিশেষজ্ঞদের মতে, তামার কয়েলের এসি কেনাই বুদ্ধিমানের। তামার কয়েলে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়, এই কয়েলের সেরকম রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজন হয় না। কী ধরনের এসি কিনবেন, তা নির্ভর করছে ঘর কত বড় তার ওপর। ১৪০ থেকে ১৫০ বর্গফুটের ঘরে এক টন ওজনের এসি যথেষ্ট। এসি কত টনের, সেই হিসাব সাধারণত করা হয় এক টন বরফ গলাতে ২৪ ঘণ্টায় কতটা তাপমাত্রা প্রয়োজন তার ভিত্তিতে। সাধারণত ১৮০ বর্গফুটের ঘরে অন্তত দেড় টনের এসি প্রয়োজন। এসি কেনার আগে দেখে নিন, এসিতে থার্মোস্ট্যাট এবং একাধিক ব্লোয়ার আছে কি না। এসির ফ্যানের দ্রুততা কমানো- বাড়ানো যায়। বিদ্যুতের খরচও বাঁচানো যায়। ইনভার্টার এসি অনেক বেশি সাশ্রয়ী। এতে এক দিকে যেমন বিদ্যুৎ খরচ কম হয়, তেমনই এসি ভালোও থাকে বেশিদিন। ঘরে যদি বেশি রোদ আসে বা ঘর যদি হয় বহুতলের ওপরের দিক থেকে পাঁচ তলার মধ্যে, তবে ঘরের আয়তন অনুযায়ী যত টনের এসি দরকার, তার থেকে ০.৫ টন বাড়িয়ে নিন