• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
যেসব লক্ষণে বুঝবেন জরায়ুতে টিউমার আছে কি না
যে কারণে ইকারিয়া দ্বীপের মানুষ ১০০ বছর বাঁচে
বিশ্বে এমন একটি দ্বীপ রয়েছে যেখানে বসবাসকারী মানুষ একশ বছর পর্যন্ত বাঁচেন। দ্বীপটির নাম ইকারিয়া। এজিয়ান সাগরের পূর্ব অংশের গ্রীকের ছোট এ দ্বীপটির স্থায়ী বাসিন্দা আট হাজারের কিছু বেশি। এটি বিশ্বের পাঁচ ‘ব্লু জোন’ এর একটি। ‘ব্লু জোন’ বলতে সেসব অঞ্চল বোঝায় যেখানকার মানুষের শতবর্ষী হওয়ার হার বেশি। এখানে অন্যান্য অনেক জায়গার তুলনায় ক্রনিক ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী রোগের হার কম। সূত্র: বিবিসি।  প্রকৃতপক্ষে, এক তৃতীয়াংশ ইকারিয়ান ৯০ বছরের বেশি বেঁচে থাকেন। দৃঢ় সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং প্রয়োজন মাফিক ঘুম ইত্যাদি এই দ্বীপের বাসিন্দাদের শতবর্ষী হওয়ার কারণ বলে মনে করা হয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাদের খাদ্যাভ্যাস।  মেডিটারেনিয়ান ডায়েট বা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর হিসেবে সুপরিচিত। এই ডায়েটের সঙ্গে মিল আছে ইকারিয়া ডায়েটের। এতেও স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রচুর আঁশ বা ফাইবার এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই খাদ্যাভ্যাস ব্যাপকভাবে উদ্ভিজ্জ নির্ভর। বাদাম, আলু, লেবু, শাকসবজি, শস্য এবং বীজে আধিক্য থাকে সেখানে। ফ্যাট বা চর্বির প্রধান উৎস হিসেবে থাকে জলপাই তেল। দই, পনির, মাছ, পোল্ট্রি এবং রেড ওয়াইন পরিমিত খাওয়া হয়। লাল মাংস খাওয়া হয় খুবই সীমিত পরিমাণে, মাসে কয়েকবার। দেখা গেছে, এমন নিয়ম মেনে খাবার নির্বাচনে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। হ্রাস পায় হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের নেপথ্য কারণগুলো। ডায়ান কোচিলাস নামে একজন গ্রিক-আমেরিকান শেফ সম্প্রতি একটি রান্নার বই লিখেছেন। নাম - দ্য ইকারিয়া ওয়ে। শেফ ডায়ান কোচিলাস তার এই নতুন বইয়ে দ্বীপটির বাসিন্দাদের খাবারের আলোকে একটি ‘প্ল্যান’ দিয়েছেন। যারা নিজেদের পাতে মেডিটারেনিয়ান ঘরানা নিয়ে আসতে চান তাদের জন্য এই পরামর্শ। বইটি দু’টি প্রশ্নে আলোকপাত করে: কীভাবে "মনকে কষ্ট না দিয়েও" শরীরকে ভাল রাখা যায় এবং রান্নাটা কীভাবে করতে হবে। প্রশ্নগুলোর উত্তর তিনি খুঁজেছেন প্রশান্তি ও স্বস্তিদায়িনী দ্বীপটির সরল ও মৃদুগতির জীবনের অনুপ্রেরণায়। যেখানে মানুষে মানুষে বন্ধন গড়ে ওঠে খাবার টেবিলকে ঘিরে। নানান রকম খাবারের কথা বলা হয়েছে বইয়ে। এতে দই, শসা এবং আখরোট স্যুপের মতো হালকা খাবার, স্ন্যাকস, বড় বা মাঝারি লোকসমাগমের ডিনারের রেসিপি যেমন মিলবে তেমনি পাওয়া যাবে পনিরে ভাজা পিচ এবং আরগুলা সালাদ; রেড ওয়াইনে ভাজা মশলাদার মটরশুটি; পেস্তা-কিসমিসের পোলাওয়ের মত পদ। "আমেরিকাতে খুব দেখা যায়, স্ট্রেস নিয়ে লোকে নিজের ক্ষতি করে। বেশিরভাগ সময় আমাদের মাথার ভেতরেই কেবল এর অস্তিত্ব থাকে, চিন্তার ধরণের কারণে যা তীব্র হয়। " তার বইয়ের লক্ষ্য, মানুষ যেন নিজের যত্ন সম্পর্কে আরও সচেতন হয়। কোচিলাস দেখাতে চান "খাবারও একটা ভালোবাসার নাম।" রহস্য লুকিয়ে আছে শিমজাতীয় খাবারে কোচিলাসদের আদি নিবাস ইকারিয়াতেই। এখনো বছরের অর্ধেক সময় এখানে কাটে তার। রান্নার বই লেখার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম পিবিএস-এ ‘মাই গ্রিক টেবিল’ নামে রান্নার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। ইকারিয়াতে একটি রান্নার স্কুলও চালান কোচিলাস। একশোটি প্ল্যান্ট-বেইজড বা উদ্ভিজ্জ উপাদানের রেসিপি নতুন রান্নার বইয়ে অন্তর্ভূক্ত করেছেন তিনি। রান্নার ক্লাস করাতে গিয়ে বইয়ে এগুলো ঢোকানোর কথা তার মাথায় আসে। তিনি লিখেছেন, "মন্টানা থেকে দুজন অতিথি এসেছিলেন। ক্লাসের রান্নাঘরের কাউন্টারে বিস্ময় নিয়ে দাঁড়িয়েছিল তারা। বলেছিল, তারা শুধু বাড়িতে দিনে তিনবার মাংস খায় তাই নয়, কখনো কল্পনাও করেনি যে, কেবল উদ্ভিদ-ভিত্তিক উপাদান দিয়েও এত রান্না করা যায়। সপ্তাহজুড়ে যা করি সেসব এমনই প্রাণবন্ত, তৃপ্তিদায়ক এবং বৈচিত্র্যময়।” ইকারিয়ার নিরামিষ খাবারগুলোতে স্বাস্থ্যের উৎকর্ষ এবং মনের সন্তুষ্টি যেমন আসে, বাস্তবতার বিচারেও এগুলো তৈরি করা সুবিধাজনক। গ্রিসের অন্যান্য অংশের মতো এই দ্বীপেও কিছু মানুষ এখনও গ্রিক অর্থোডক্স চার্চের দিনপঞ্জি অনুযায়ী উপবাস ব্রত পালন করে থাকে। তাই, বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় যেমন লেন্ট(ইস্টারের আগের ৪০ দিনের উপবাস) এর সময় মাংস খায় না। কোচিলাসের রান্নার বইয়ে যেসব উপাদানের কথা বলা হয়েছে সেগুলো ইকারিয়াতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে দই, বাদাম, মধু, সামুদ্রিক লবণ, জলপাই তেল, বাদাম, টাটকা ভেষজ উপাদান, নানাবিধ শস্য, রসুন এবং বিভিন্ন ধরনের লেবু। বিশ্বের যেকোন প্রান্তের সুপারমার্কেটেই এগুলোর কাছাকাছি পণ্য পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেন মিজ কোচিলাস। দ্য ইকারিয়া ওয়েতে শিমজাতীয় খাদ্যের জয়জয়কার। যত পদের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে, এগুলোকে কোচিলাস বিশেষ স্থান দিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে দুয়েকটির কথা বলা যায় – মটরশুটি, তাহিনি(এক ধরনের তিল বাটা) এবং দই; ফাভা বিন(বিশেষ জাতের শিমের বিচি) স্টু; মরিচ দিয়ে কিডনি বিন; হলুদ, মৌরি এবং লেটুসসহ ক্যারামেলাইজড জাম্বো বিন। কোচিলাস জানান, "শিম বা মটরশুটি কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে রাখে। কারণ এগুলো দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ, যা কোলেস্টেরলের কণিকার সাথে মিশে সেগুলোকে শরীর থেকে সরিয়ে নেয়।" টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও এটি ‘উপশমকারী’,যোগ করেন তিনি। তিনি ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে "ইট বিনস্ অ্যান্ড লিভ লংগার”( শিম/মটরশুটি বিচি খাও, দীর্ঘায়ু হও) ব্লু জোনের মত খাদ্যাভ্যাসের প্রবক্তাদের জন্য একটি মন্ত্র হয়ে উঠেছে। কথাটি মূলত ড্যান বুয়েটনারের। তিনি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একজন কর্মী এবং দীর্ঘায়ু বিশেষজ্ঞ। তার দাবি, "প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ ‘বিন’ একজন ব্যক্তির আয়ু চার বছর বাড়িয়ে দিতে পারে।" কেউ চাইলে "যেকোন জায়গায়ই ভাল বিন পাবেন," উল্লেখ করেছেন কোচিলাস। এটি স্যুপ, সালাদ বা প্রধান খাবারে বহুমুখী ব্যবহার করা যায় বলে বইটিতে এর তেমন বিভিন্ন রেসিপিও দিয়েছেন তিনি। বেগুন, টমেটো, ‘ফেটা পনির’(ভেড়া বা ছাগলের দুধ থেকে তৈরি গ্রিক পনির) দিয়ে হোয়াইট বিন স্টু রেসিপি সম্পর্কে কোচিলাস লিখেছেন "এই সাধারণ খাবারটি শাকসবজির সাথে ‘বিন’ এবং ডাল দিয়ে করা অনেক গ্রিক রান্নার একটি।" বাড়িতে কেউ করতে চাইলে রেসিপিটির জন্য টিনজাত বিন ব্যবহার করতে পারেন। একটি পুষ্টিকর এবং সুষম খাবার পেয়ে যাবেন তারা। কেউ যখন ‘ইকারিয়া ওয়েতে’ কোনো রেসিপি অনুসরণ করে খাবার বানাবেন, ওই বাক্যটিও হয়তো তাদের সম্ভাষণে ঠাঁই করে নেবে।
গরমে ঘন ঘন হিট ক্র্যাম্প, যাদের ঝুঁকি বেশি 
হিট স্ট্রোক কেন হয়, প্রতিরোধে যা করবেন
প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন
হাড়কে মজবুত করতে একাই একশো যে পাতা
গলা ব্যথা ও খুসখুসে ভাব সারানোর ঘরোয়া উপায়
শীতে জীবাণু অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার সমস্যায় ছোট-বড় সবাই কমবেশি ভুগে থাকেন। আর ঠান্ডা লাগলেই অনেকের গলা ব্যথা, গলা খুসখুসের মতো সমস্যা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও যাদের টনসিলের সমস্যা আছে, সামান্য ঠান্ডাতেও তাদের গলা ব্যথা বেড়ে যায়। যা খুবই কষ্টদায়ক। খাবার বা পানি গিলতে প্রচণ্ড কষ্ট হয় গলা ব্যথা হলে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ কয়েকটি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলেই গলা ব্যথা থেকে দ্রুত স্বস্তি মিলবে। কয়েকটি প্রাকৃতিক ভেষজের সাহায্যেই প্রচণ্ড গলা ব্যথা মহূর্তেই কমানো সম্ভব। কয়েকটি উপাদানের মাধ্যমে ঘরোয়া উপায়েই সারাতে পারবেন এ সমস্যা।  গলার ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায়:  >> গলায় ব্যথা হলে অনেকেই গরম পানির সাহায্য নিয়ে থাকেন। অনেকেই আবার কিছু না করে গলার ব্যথা কাবু হয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গলার ব্যথা কমাতে ব্যবহার করুন মধু এবং গোল মরিচের। মধুর সঙ্গে গোল মরিচ মিশিয়ে খেলে গলার ব্যথা দূর হবে সহজেই। তাদের মতে, মধুতে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। এর সঙ্গে গোল মরিচে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান। গলার ব্যথার পাশাপাশি বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকেও প্রতিরোধ করে। >> গলা ব্যথার সমস্যায় আদা চা খুবই উপকারী। আদায় থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দ্রুত সারায় গলার যে কোনো সমস্যা। এ ছাড়াও চায়ে থাকে নানা উপকারী উপাদান। যা বহু সমস্যার করতে পারে সমাধান। >> সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও গলার খুসখুসে ভাব দূর করতে আদা, গুড় ও জোয়ান হতে পারে দারুণ উপকারী। এজন্য সামান্য গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন আদা কুচি ও জোয়ান। দেখবেন সেরে যাবে গলার সব সমস্যা। >> গলা ব্যথা বা গলা খুসখুসের সমস্যা সমাধানে লবণ পানি খুবিই কার্যকরী। দুদিন তিনবেলা করে লবণ পানি গার্গল করলেও খুব দ্রুত সেরে যাবে গলা ব্যথা। >> গলার ব্যথা কিংবা বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলুদ দুধের জুড়ি মেলা ভার। স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী হলুদ দুধ নিয়মিত রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে স্বাস্থ্যের খুবই উন্নতি হয়। এছাড়া গলায় যদি খুব ব্যথা হয় কিংবা গলা বসে যায়, তাহলে এক গ্লাস গরম দুধে দু চিমটে হলুদ দিয়ে তা রাতে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গলার ব্যথা সারার পাশাপাশি বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। যদিও যদি খুব বেশি সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
শীতে গরম পানিতে গোসলে ভয়ঙ্কর বিপদ
শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ঠান্ডা কমেনি। গত কয়েক দিন কুয়াশার দাপটও ছিল দেখার মতো। দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ টানা পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে পাননি সূর্যের দেখা। রাজধানীতে কিছুটা সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও দিনের অধিকাংশ সময়ই ছিল মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। মূলত, দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি না হলে ঘন কুয়াশা সরবে না। আর কুয়াশা না সরলে রোদ এসে শীতের দাপটও কমাতে পারবে না। এমনতাবস্থায় শীতকাতুড়ে আর ঠান্ডাজনিত রোগ যাদের পিছু ছাড়ে না তাদের জন্য গোসল একটি বাড়তি বিড়ম্বনা। শীতে গোসল কষ্ট থেকে বাঁচতে গরম পানিতে আস্থা প্রায় সবার। তবে এটি যে শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তা হয়তো জানেন না অনেকেই। চর্মবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গরম পানি দিয়ে গোসল শরীরের জন্য কখনই ভালো কিছু বয়ে আনে না। নিয়মিত কেউ গরম পানিতে গোসল করতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তারা জানান, গরম পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল ত্বকের ফলিকলগুলোকে নষ্ট করে দেয়। পানি কুসুম গরম না হয়ে একটু বেশি গরম হয়ে গেলে তা আরও বিপজ্জনক। মাথায় অতিরিক্ত গরম পানির ব্যবহারে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া মস্তিস্কের ওপরে চাপ সৃষ্টি হয়।  রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।   তারা জানান, অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে মুখে ব্রন হয়। অ্যাসিডিটির সমস্যা যাদেরও তাদেরকে গরম পানি পরিহার করতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। হৃদরোগবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যারা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের গরম পানি দিয়ে গোসল করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ গরম পানি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করলে মানসিক বিষণ্নতায় ভোগা ব্যক্তিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসব কারণেই মাথায় ঠান্ডা পানির ব্যবহার করতে ও গরম পানি দিয়ে গোসলে অভ্যাস না করতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ৪-৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা কঠিন। এ ক্ষেত্রে টনসিল, সর্দি, কাশি প্রভৃতি বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়।   সেজন্য অতিরিক্ত গরমও নয় আবার ঠান্ডাও নয় প্রত্যেককে কুসুম গরম পানিতে গোসল করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে শরীরের রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি ঘটে এবং অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়। শীতকালীন সর্দি-কাশি উপসর্গ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।  
শীতের শুষ্কতায় শিশুর ত্বক রুক্ষ, যা করবেন
শিশুর ত্বক অনেক বেশি নরম, সংবেদনশীল। শীতের শুষ্কতায় সেই ত্বক স্নিগ্ধতা ও পুষ্টি হারায়। শীতের শুষ্কতায় চামড়ায় টান ধরে, ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। শীতের বাতাস শিরশিরে ঠান্ডা, তার ওপর শিশুরা সূর্যের তাপ পায় কম। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে ঠান্ডা লাগা, সংক্রমণ, চর্মরোগ ও অন্য শীতকালীন রোগ পেয়ে বসে। এ সময় অনেক মায়েরা কীভাবে সন্তানের খেয়াল রাখবেন, তা বুঝে উঠতে পারেন না। জেনে নিন শিশুকে শীতল আবহাওয়ায় সুস্থ রাখবেন যেভাবে-  শীতকালে শিশুদের তেল মালিশ খুবই প্রয়োজন। যে তেল আপনার শিশুর শরীরে স্যুট করবে, তা দিয়েই করুন। অলিভ আর অশ্বগন্ধা নাকি ত্বকের জন্য খুবই ভালো। চামড়া নরম থাকে। আবার টোনও করে ভালো। শিশুদের গোসল করানোর সময় পানি যেন হালকা উষ্ণ থাকে। বেশি উষ্ণ পানিতে ত্বকের পাতলা আস্তরণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। রোদ পেয়ে শিশুকে অনেকক্ষণ ধরে গোসল করাবেন না। এতে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। শিশুদের প্রতিদিনের গোসল না করালেও চলে, এমনটাই মত কিছু বিশেষজ্ঞর। তারা মনে করেন, দুদিনে একবার শিশুকে গোসল করালেই যথেষ্ট।  শুধু গোসলের আগে তেল দিলেই হবে না, তারপর গা ভালো করে মুছে নিয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিম দিতে হবে। ক্রিমের উপাদান দেখে কিনবেন। তাতে যেন অ্যালোভেরা, আমন্ড তেল ও দুধ থাকে। এক্ষেত্রে আবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ক্রিমটি কিনতে পারেন। শিশুর তোয়ালে, লেপ কিংবা পরনের গরম পোশাক বাছার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। এগুলো যেন খসখসে না হয়। যদি তা হয় তাহলে শিশুর নরম চামড়ার ক্ষতি হতে পারে। খুব মোটা কিছু দিয়ে শিশুকে চাপা দেবেন না, এতে অস্বস্তি হতে পারে। এমন কিছু ব্যবহার করবেন যা নরম, আবার গরমও।