• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
আত্মসমর্পণের পর কারাগারে বিএনপি নেতা ইশরাক
ব্যাংকে কী তাহলে মাস্তান-মাফিয়া ঢুকবে, প্রশ্ন রিজভীর
ব্যাংকে সাংবাদিকরা ঢুকবে কেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে? রোববার (১৯ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মধুখালীতে গণপিটুনিতে নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারকে সহায়তা প্রদান পূর্বে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।  রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারতীয় একটি পত্রিকা লিখলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার হ্যাক হয়ে গেছে। ব্যাংক তো একটা স্টেটমেন্ট দিল, কারণ তারা সরকারের চাকরি করেন। সরকার যা বলবে তাদেরকে তাই শুনতে হবে। কিন্তু মূল ঘটনা কি আড়াল করা যাবে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দিয়ে? রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগে করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে। রিজার্ভ তো তলানিতেই। এ সময় তিনি বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন। বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমরা একটা শূন্য গহ্বরের ভেতর বাস করছি। আমাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। কীসের ওপর দাঁড়িয়ে আছি তা নিজেরাই বলতে পারব না। শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী কারা? এরা সবাই ক্ষমতাসীনদের আত্মীয়-স্বজন কাছের লোক।   আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে। রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
যুদ্ধের সময় সহযোগিতা মানে দিল্লির দাসত্ব নয়: সালাম
নির্বাচনের পরেও একই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র: মঈন খান
আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে : ফখরুল
৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির
সরকার নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে পদক্ষেপ নেয় না: ফখরুল  
নতজানু সরকার বলেই দেশের জনগণের স্বার্থে প্রকৃতভাবে যে একটা স্ট্যান্ড ( অবস্থান) নেওয়া দরকার সেটি নিতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী সরকার এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই (আওয়ামী লীগ) সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার। ফখরুল বলেন, ফারাক্কা দিবস মনে করে দেয় জনগণের শক্তির কাছে বড় কোনো শক্তি নেই। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বহু রাজনৈতিক দল এক হয়ে লড়াই করছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছে। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজও নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। ২৮ অক্টোবরের পর তিন দিনের মধ্যে আমাদের ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এমন তথ্য জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সেই নিপীড়ন নির্যাতন চলছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছেন তাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার দখলদার সরকার। তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে তাদের স্বার্থ আর প্রভুদের স্বার্থ রক্ষা করা। বিশেষ একটা দায়িত্ব নিয়ে এ সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এটা নির্বাচিত নয় এরা নির্বাচন করে না। এরা জানে, নির্বাচন করলে তাদের একটা ভূমিধস পরাজয় হবে। বিভিন্ন কৌশলে  নির্বাচন দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে। তিনি বলেন, যারা সরকারের গুণগান করে, তাদের উদ্দেশ্য হলো এ সরকার টিকে থাকলে তাদের লুণ্ঠন, পাচার অব্যাহত থাকবে। তারা বেনিফিশিয়ারি হবে। এমন একটি বেনিফিশিয়ারি গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের একমাত্র কাজ হচ্ছে নিজেদের বিত্ত তৈরি করা ও অন্য দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের দাবি নিজেদেরই আদায় করতে হবে। অন্য কেউ এসে করে দেবে না। ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।
বিএনপির আরও চার নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও দলীয় নির্দেশ না মেনে প্রার্থী হওয়ায় বুধবার (১৫ মে) ৫২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ কারণে আজ আরও চারজনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এর মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সামাদ দুলাল, হবিগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হক টিপু, ফরিদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ঈসারাত মুন্সী ও পাবনায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আলী প্রামানিক। ৮ মে থেকে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় সরকার এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলের নেতাকর্মীদের প্রথমে শোকজ এবং পরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কার করছে বিএনপি। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে ফিরে আসায় কয়েকজনের বহিষ্কারাদেশ তুলেও নেওয়া হয়েছে।  উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ায় ৮০ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। ২১ মে হবে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন, যে নির্বাচনকে ঘিরে ৬৯ জনকে একই কারণে বহিষ্কার করে দলটি। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তৃতীয় ধাপের নির্বাচন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২০৪ জনকে বহিষ্কার করা হলো।
আরও ৫১ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়ায় ৫১ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় তাদের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নিলো দলটি। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আছেন ১৭, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ২৬ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) ৯ জন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় দলটি। শুরুতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের কাছে। জবাব দিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে তাদের। বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ৩য় ধাপে ১১২টি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৯ সাংগঠনিক বিভাগ থেকে ৫১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ৫১ জনের মধ্যে রংপুর বিভাগের ১২ জন। রাজশাহী বিভাগর ৪ জন। বরিশাল বিভাগে ৫ জন। ঢাকা বিভাগে চারজনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ৭ জন, কুমিল্লায় ৫ জন, খুলনায় ৪ জন এবং চট্টগ্রামে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। তাদের তিন-চারজন ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে নোটিশের জবাবও দিয়েছেন। এছাড়া এই নোটিশ পাওয়ার পরও যারা নির্বাচনে থাকবেন, আগের দুই ধাপের মতোই তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এ পর্যন্ত ১৯৩ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলো। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে ফিরে আসায় কয়েকজনের বহিষ্কারাদেশ তুলেও নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করায় ৮০ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। দ্বিতীয় ধাপে বহিষ্কার করা হয় ৬১ জনকে। প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় বিএনপির ২৮ জন নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে জয়ী হন ৭ জন। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। গত রবিবার ছিল এই ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। বহিষ্কারের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন...
আ.লীগের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত দেশের মানুষ: ফখরুল
আওয়ামী লীগের কারণে বাংলাদেশের মানুষ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ মে ‘ফারাক্কা দিবস’ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে অবিসাংবাদিত মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চে অংশ নেয়। ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল আজ প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ওই এলাকায় পানি সংকটসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।  তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে আজ পর্যন্ত চালু আছে। এই বাঁধ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব এরপর বলেন, আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে ভারত একতরফা নিজেদের অনুকূলে যেভাবে পানি প্রত্যাহার করছে, তাতে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ সংকটের মুখে। বাংলাদেশ নিষ্ফলা উষর ভূমি হয়ে ওঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে। সুতরাং ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে যে ঐতিহাসিক লং মার্চ এগিয়ে গিয়েছিল, তা যেকোনো অধিকার আদায়ে এ দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে। বাণীতে ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন সংগঠনের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।  
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৪৫ নেতাকে শোকজ
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়া তৃণমূলের ৪৫ জন নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) পাঠানো ওই চিঠির বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাদেরকে শোকজ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কেন তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করে বিএনপি। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে বিএনপি ৮২ জন নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করে। দ্বিতীয় ধাপে ৬৬ জনকে বহিষ্কার করে। আর তৃতীয় ধাপে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত কতজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যাটি পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এ কারণে এখন পর্যন্ত কতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনে বহিষ্কৃতদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান এবং তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ভোটে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে এরইমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর ৪৫ জনকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শোকজ নোটিশপ্রাপ্ত নেতার মধ্যে ১৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। বাকি নেতারা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।  
লু নয়, জনগণের শক্তিতেই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সফরের ওপর নির্ভর করছে না বিএনপির আন্দোলন। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপিকে কারো ওপর নির্ভর করতে হবে না। আগেও  জনগণ নিজের শক্তিতে পায়ের ওপর ভর করে আন্দোলন করেছে, এখনো করবে। জনগণের শক্তিতেই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে গণঅধিকার পরিষদ ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অনেকে। দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার বিনা ম্যান্ডেটে গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। তাদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রাম ও লড়াই করে আসছে। এতে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তরুণ এবং ছাত্রসমাজকে আন্দোলনে আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেকোনো পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে তরুণ এবং ছাত্রসমাজ বড় ভূমিকা পালন করে। যারা গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। বিভিন্ন আন্দোলনে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত জোরাল ছিল। আগামী দিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাদের ভূমিকা অক্ষুণ্ণ রাখবেন বলে আমি আশাবাদী। জনগণকে সংঘবদ্ধ করার ক্ষেত্রেও তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন। 
‘ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে কাদের সাহেবরা অস্থিরতায় ভুগছেন’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতারা কিছু না বললেও ওবায়দুল কাদের সাহেবরা খুব উত্তেজনার মধ্যে আছেন। তাদের উত্তেজনা কোনোভাবেই প্রশমিত হচ্ছে না। তারা মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন। ভয়ে তারা প্রলাপ বকছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।   রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির নেতারা মনে করেন, লু এসে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবেন।’ কিন্তু বিএনপির নেতারা কোথাও এ বিষয়ে কিছু বলেননি। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা ভয় থেকে প্রলাপ বকছেন। তিনি কি জ্বরে ভুগছেন কি না! মনে হয় তিনি বড় ধরনের অস্থিরতায় আছেন। তিনি বলেন, সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে, অথচ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ ২৫-২৬ হাজার নেতাকর্মীকে তারা গ্রেপ্তার করে। সে নির্বাচনে অন্য কোনো দল অংশ নেয়নি। জনগণও তাদের ভোট দিতে যায়নি। গোটা বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করে এখন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কথা বলছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। সুষ্ঠু ভোটে তারা বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ধ্বংস করে জোর করে ক্ষমতায় আছে তারা। বিএনপির এ নেতা বলেন, সবদিক থেকে বাংলাদেশ ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, ‘তার কর্মজীবনে অর্থনীতির এমন খারাপ অবস্থা দেখেননি।’ জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী বলেছেন, ‘বর্তমান অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য পশ্চিমারা ষড়যন্ত্র করছে।’ তাদের এরকম বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সুতরাং জনগণকে মিথ্যা বলে বিভ্রান্ত করা যাবে না। তাদের প্রতিটি কাজ অবৈধ।