• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে আ.লীগ : জিএম কাদের
‘বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়’
বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হক চুন্নু। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ১২টি জাতীয় নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে; যারা হেরে গেছে তারাই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যেমন ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হয়েছে, তখন আওয়ামী লীগ বলেছে- নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আবার ’৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, তখন বিএনপি বলেছে- নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। বর্তমান ব্যবস্থায় শতভাগ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।  তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেওয়া ফর্মুলা অনুযায়ী আনুপাতিক হারে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব। ভোট হবে দলীয় প্রতীকে। যে দল যতভাগ ভোট পাবে তারা শতকরা ততভাগ এমপি পাবে। বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় জালভোট দেওয়া যায়, কারচুপি করা যায়। তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচন চায় না।   তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন দাবি করে তারা স্বাধীন। আসলে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা নেই। আইনে লেখা আছে নির্বাচনকালীন সংশ্লিষ্ট সবাই নির্বাচন কমিশনের কথা মানতে বাধ্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কথা না শুনলে কী হবে তা লেখা নেই। তাই নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।  মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ক্ষমতায় এসে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাই তারা নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিতে চায় না। বিএনপি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। আর আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থার ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকছে। নির্বাচন ফেয়ার করতে হলে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে।  তিনি বলেন, দেশের হাজার কোটি টাকা পাচার করে সিঙ্গাপুর, কানাডা, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে সম্পদ করছে একটি গোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না। লাইসেন্সবিহীন চালকরা ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালাচ্ছে। তাই সড়কে দুর্ঘটনা কমছে না।
দেশের ইতিহাসে কখনও এত বেশি বৈষম্য ছিল না: জি এম কাদের
রেলের ভাড়া বাড়ানো অমানবিক: জি এম কাদের
‘৩ বি‌দে‌শি শ‌ক্তি আ.লীগ‌কে ক্ষমতায় রাখ‌তে কাজ করেছে’
পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : রওশন এরশাদ
শিব নারায়ণ দাশকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে : জি এম কাদের 
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় তিনি প্রয়াত শিব নারায়ণ দাশের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শোকবার্তায় জি এম কাদের বলেন, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে শিব নারায়ণ দাশের অনন্য ভূমিকা অক্ষয় হয়ে থাকবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন শিব নারায়ণ দাশ জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।  তিনি আরও বলেন, শিব নারায়ণ দাশের স্বপ্নের পতাকা আমাদের গৌরবের অর্জন। তাকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে একইভাবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেন স্বাভাবিক ঘটনা : জি এম কাদের
ফরিদপুর এবং ময়মনসিংহে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জনসহ মোট ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি। জি এম কাদের বলেন, ‘প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ যাচ্ছে, কোনো প্রতিকার নেই। সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেন স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার সংবাদ মেনে নেওয়া যায় না। তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’  তিনি বলেন, ‘নিহতদের প্রতি পরিবারকে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’
পাঁচ বছর আওয়ামী লীগকে ঘুমাতে দেব না : চুন্নু
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়, সেই কাজটা সংসদের মাধ্যমে আমি করছি। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, পাঁচটা বছর আওয়ামী লীগকে ঘুমাতে দেব না। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সদস্য শফিউল আলম জনির দেওয়া উপজেলাবাসীর জন্য ফ্রি  অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, হতে পারি আমরা সংখ্যায় কম। সংসদে বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা ৫০ বা ৬০ জন হলে কি হবে, যদি তারা কথা বলতে না পারে। বঙ্গবন্ধুর সময় বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো একজনই সংসদ কাঁপিয়ে রাখত। তাই বিরোধীদলের সংসদ সদস্যের সংখ্যাটা বড় বিষয় নয়, কথা বলাটা বড়। কথা বলতে পারলে দুই-চার-পাঁচজনই যথেষ্ট। তিনি বলেন, বিদ্যুতের নামে ৯০ হাজার কোটি টাকা জরিমানা দিয়েছে, কেন দিল, কেন বিদ্যুৎ নাই- এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে বাধ্য করেছি। তিনি আমার প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হয়েছেন। করিমগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মুসলেহ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, সমাজসেবক রফিকুর রহমান রফিক, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম খান বাবলু, করিমগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ূম, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রিয়াদ শাহেদ রনি প্রমুখ।  
কেএনএফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জিএম কাদেরের
বান্দরবানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। শনিবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান। বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, কেএনএফের সদস্যরা বান্দরবানে কয়েকদিন ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে। থানা-পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টে আক্রমণ চালিয়ে পাহাড়ি এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। তারা ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, গ্রাহকদের টাকা ও বাজারে লুটপাট করছে। তিনি আরও বলেন, তাদের এ নৃশংসতায় মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। মুখ থুবড়ে পড়েছে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প। এ সময় তিনি পার্বত্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য হতাশা প্রকাশ করে। দায়ী কারণগুলো নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
জাপার অন্তঃকোন্দলের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির অন্তঃকোন্দলের জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বনানী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টি অনেক সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। কিন্তু সরকার সেখানে ইন্ধন দেয়, এসব ঠিক নয়। তিনি বলেন, বৈষম্যকে লালন করে দেশকে নানাভাবে বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে ব্যবসা চলছে। সুবিধাভোগীরা লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে মামলা হয়। যেভাবে আইনকানুন করে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল টিকবে না। সরকার ঠিক থাকলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে, কিছু মানুষকে উপরে ওঠানো হচ্ছে, কিছু মানুষকে মুছে ফেলা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। এমনও দেখা যাচ্ছে, বয়স ৫০ হয়নি অথচ সে মুক্তিযোদ্ধা, এইগুলো কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? জিএম কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যসহ কোনো কিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। দেশকে ভুবিয়ে দিয়ে আপনারা বাঁচতে পারবেন না, মানুষের অভিশাপ লাগবে।  তিনি বলেন, বৈষম্য করে দেশকে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা বৈষম্যমুক্ত দেশ ও সমাজ চাই। আর এই বৈষম্যের কারণেই একটা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে।  
জিএম কাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  দলটির যুগ্ম-মহাসচিব সাদ এরশাদকে দল থেকে বহিষ্কার করায় তাকে এ লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। দ্রুত ক্ষমা চেয়ে বহিষ্কারের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে। খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এসএম মাসুদুর রহমান শনিবার (২৩ মার্চ) ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। তিনি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নোটিশে মাসুদুর রহমান উল্লেখ করেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু দল থেকে বহিষ্কৃত। নতুন কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ দলের যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। নোটিশে তিনি আরও বলেন, জিএম কাদের দল থেকে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদকে বহিষ্কার করতে পারেন না। কারণ তিনি তো দলের চেয়ারম্যানই নন। তিনি দল থেকে অব্যাহতির কথা বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে জনসম্মুখে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদের মানহানি করেছেন। দ্রুত ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করলে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করেন আইনজীবী মাসুদুর রহমান। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জিএম কাদের অনুসারী মাহমুদ আলম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এম এ কুদ্দুস খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা রহমান মুন্নি, প্রাদেশিক বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এস এম আল জুবায়ের, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, শারমিন পারভীন লিজা, যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক শেখ মাসুক রহমান ও যুগ্ম-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এদিকে দলটির পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আগেই জিএম কাদেরের নেতৃত্ব পরিহার করে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে পৃথক জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন অব্যাহতি পাওয়া এসব নেতা। কাউন্সিলে সাদ এরশাদ, সাহিদুর রহমান টেপা কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি নেতারা বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
যে কারণে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি, জানালেন রওশন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা, দল পরিচালনায় অনঅভিজ্ঞতা ও ভুল পদক্ষেপের কারণে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রওশন এরশাদ বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনের যে প্রভাব পার্টির ওপর পড়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা পার্টিকে রক্ষা করা এবং পার্টিকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এখন দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চলমান রাখতে সুসংগঠিত জাতীয় পার্টির একান্ত প্রয়োজন। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এরশাদের জন্মদিনের শুভ মুহূর্তে- যারা একদিন তাকে ভালোবেসেছিলেন- তাদের সবার প্রতি আহবান- আসুন আমরা আবার জাতীয় পার্টির এক পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হই, পল্লীবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করি। রওশন বলেন, আমার কারও প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ নেই। পার্টির যারা দশম কাউন্সিলের বাইরে ছিলেন তারাও ফিরে আসুন জাতীয় পার্টির সঙ্গে। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টিকে জাতির সামনে উপহার দিতে চাই।