images

খেলা / ক্রিকেট

গোলাপি বলের টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বিসিবি

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ , ০৭:৩৭ পিএম

images

ক্রিকেটে দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিবা-রাত্রি বা গোলাপি বলের টেস্ট। সাধারণত অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতকে দেখা যায় গোলাপি বলের টেস্ট খেলতে। ২০২১ সালে ভারত সফরে প্রথমবার টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এবার গোলাপি বলের দিকে নজর দিচ্ছে বিসিবি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) আসন্ন আসর গোলাপি বলে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বিসিবি। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।

মূলত আগামী এপ্রিল-মে মাসে দেশের অতিরিক্ত গরমের জন্য দিবা-রাত্রির টুর্নামেন্ট করার কথা বিবেচনায় রেখেছে বিসিবি। এতে করে গোলাপি বলের টেস্ট খেলতেও সুবিধা হবে। 

আরও পড়ুন
Web_Image

টেস্টের দেড়শ বছর পূর্তির ঐতিহাসিক ম্যাচ হবে দিবারাত্রির

আকরাম খান বলেন, আমরা এটা (গোলাপি বলের বিসিএল) বিবেচনা করছি। টুর্নামেন্টটা যেহেতু মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে, এ জন্য আমরা ভিন্ন কিছু করতে চাই। ওই সময় গরম একটা আলাদা ফ্যাক্টর থাকবে। যেহেতু আমরা গোলাপি বল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাই আমাদের এমন ভেন্যু লাগবে যেখানে ফ্লাডলাইট নিয়ে সমস্যা হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা আসলে এরকম পরিকল্পনা করছি, এখনও চূড়ান্ত নয়। হয়তো আমরা পিঙ্ক বল দিয়ে বিসিএল (আয়োজন) করতে পারি, ডে-নাইট করতে পারি কিংবা ভালো একটি টেস্ট ভেন্যুতে করতে পারি। ন্যাশনাল টিমের যারা ওই সময় থাকবে তারাই খেলবে, অথবা পরের ধাপের ক্রিকেটাররা অংশ নেবে।

আরও পড়ুন
Web_Image

ব্রাসওয়েলকে অধিনায়ক করে নিউজিল্যান্ডের দল ঘোষণা

বিসিবির এমন পরিকল্পনাকে ইতিবাচক ভাবে দেখছেন কোচ সোহেল ইসলাম। তার ভাষ্য, অবশ্যই ইতিবাচক বিষয়। আপনি যখন ইংল্যান্ডে খেলবেন বা ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলবেন তখন ডিউকে (বল) খেলবেন, ভারতের সঙ্গে যখন খেলবেন এটা এসজি বলে হবে। আবার আপনি যখন অন্য জায়গায় খেলবেন তখন কোকাবুরা বলে খেলা হয়। একেকটা বলের একেকটা ন্যাচার আছে ওটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বা ওটা সম্পর্কে জানাও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। 

গোলাপি বলের ব্যবহারে ক্রিকেটারদেরও উন্নতি হবে বলে মনে করছেন তিনি। সোহেল বলেন, যতগুলো বল আছে, এর মধ্যে লাল-সাদার চেয়ে গোলাপি বলে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ থাকে আমার মনে হয়। হঠাৎ করে গোলাপি বলে খেলতে গেলে যেন ওই চ্যালেঞ্জগুলো নিতে পারি। 

তিনি আরও বলেন, ওই বলের চরিত্র যেন ব্যাটাররা কিছুটা বুঝতে পারে, বোলাররাও যেন বল কী পরিমাণ সুইং করছে বা স্পিন করতে গেলে কী করতে হবে তা জানে। আমি যদি কিছু ম্যাচ খেলি তাহলে তো ভালো হবে নিশ্চয়ই। এখান থেকে কিছু শিখতে পারব। এটা চিন্তা করেই করা।

আরটিভি/এসআর-টি