জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, এখন থেকে ডাব ব্যবসায়ীদের ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ, পাকা ভাউচার ও ডাবের মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ‘যৌক্তিক মূল্যে ডাব ক্রয়-বিক্রয়বিষয়ক সচেতনতামূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ডাব নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে, আমি এটা চিন্তাও করিনি। ডলার সংকট বা বৈশ্বিক প্রভাবে অন্যান্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ডাবের মূল্য বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই। যারা ডাবের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তারাই দাম বৃদ্ধির সুযোগ নিচ্ছে। এখন থেকে ডাব ব্যবসায়ীদের ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ, পাকা ভাউচার ও ডাবের মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) থেকে আমরা সারাদেশে এটি পরীক্ষা করব। এগুলো করার পর বাজারে যদি প্রভাব না পড়ে, তাহলে পরবর্তী সময়ে আমরা আরও কাজ করব। ডাবের বাজার যতদিন স্থিতিশীল না হবে, ততদিন আমরা কাজ করব।
তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে ডাবের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। ডেঙ্গুর একটি বড় চিকিৎসা হলো তরল পানি পান করা। এ জন্য প্রাকৃতিক ডাবই হলো সবচেয়ে উত্তম। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে ডাবের চাহিদা বাড়ায় পণ্যটি দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ডাবের দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। ডাবের দাম বৃদ্ধির সুযোগ এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকে নিচ্ছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা চাই, ডাব ব্যবসায়ীরা সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করবেন। অতি মুনাফাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
ভোক্তার ডিজি বলেন, সম্প্রতি ডাবের বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা যেসব তথ্য পেলাম, তাতে ডাবের দাম খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। আশা করি ডাবের বাজারের যে অস্থিরতা সেটি নিরসন হয়ে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দাম কমে যাবে।