শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যু: মামলার পর গৃহকর্ত্রী গ্রেপ্তার
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় জান্নাতির গৃহকর্ত্রী রোকসানা পারভিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে গৃহকর্তা পলাতক রয়েছেন।
নিহত শিশু গৃহকর্মীর নাম জান্নাতী। তার বাবা জানু মোল্লা মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, গৃহকর্তা সাঈদ আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী রোকসানা পারভীন।
জান্নাতির বাড়ি বগুড়ার গাবতলি। গৃহকর্মী জান্নাতী (১২) চার বছর ধরে ওই বাসায় কাজ করতেন। গত মঙ্গলবার ভোরে জান্নাতীর বাবাকে মেয়ে অসুস্থ বলে ঢাকায় ডেকে আনা হয়। ঢাকায় এসে দেখেন মেয়ে মারা গেছেন। তিনি মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দেখতে পান।
চাকরি সূত্রে সাঈদ এসময় বগুড়ায় থাকতেন। তখন জান্নাতি ওই বাড়িতে কাজ নেয়। এরপর সাঈদের পরিবার ঢাকায় চলে এলে জান্নাতীও তাদের সঙ্গে ঢাকায় আসে। সাঈদ বর্তমানে পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী। স্যার সৈয়দ রোডের ৬/৫/এ নম্বর ভবনের একতলায় সাঈদ আহমেদ পরিবার নিয়ে থাকেন।
জান্নাতির বাবা জানু মোল্লা বলেন, গত মঙ্গলবার ভোরে মোবাইল আমাকে ফোনে জানানো হয় মেয়েটা অসুস্থ। দেখতে চাইলে যেন তাড়াতাড়ি ঢাকায় আসি। খবর পেয়ে ঢাকায় এসে দেখি মেয়েটা মারা গেছে।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডা. মাইনুদ্দিন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, গত বুধবার ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া না গেলেও আজ ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানেও নির্যাতনের দাগ রয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এখন ব্যবস্থা নেবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, জান্নাতি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, তা বুধবারের (২৩ অক্টোবর) প্রথমদফার ময়নাতদন্ত থেকে জানা যায়নি। কিন্তু মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ ফের তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করে। এতে জানা যায়, জান্নাতী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এরপর থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় গৃহকর্ত্রী রোকসানাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পি
মন্তব্য করুন