দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে: ড. মাহাদী আমিন

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ , ০১:০৮ এএম


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে: ড. মাহাদী আমিন
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে জনগণ কষ্টে আছে। ভ্যাট বাড়ানোর কারণে দ্রব্যমূল্যে আরও বাড়বে। বিএনপি জন-মানুষের দল। আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করি। আমরা সারাদেশের সব বিভাগ-জেলায় যাই, পাড়া-মহল্লায় যাই, সেখানে গিয়ে দেখি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি বিএনপির এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মাহাদী আমিন বলেন, সারা বিশ্বে যেখানে বিদ্যুতের দাম কমানো হয়েছে, সেখানে আমাদের এখানে বাড়ানো হয়েছে। চালের দাম সারা পৃথিবীতে ২৫ শতাংশ কমে গেছে কিন্তু আমাদের এখানে ৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। সব জায়গায় চালের দাম কমছে, বিদ্যুতের দাম বাড়ছে কেন?

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের উপর ভ্যাটের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। সেখানে প্রত্যকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আমরা সকালে যে ব্রাশ করি সেখানে ব্রাশ-পেস্টের দাম বেড়ে গেছে। নাস্তার টেবিলে আমার যা খাবো, তা তৈরির করতে গ্যাস দরকার, তার দাম বেড়ে গেছে। সকালে ডিম খাই-পাউরুটি খাই সব কিছুর দাম বাড়ানো হয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি নজিরবিহীন ভাবে ভ্যাট বাড়ানোর মাধ্যমে সব কিছুর দাম বাড়ানো হয়েছে।

সেবাখাতে ভ্যাট বাড়ানোর কুফল বর্ণনা করে ড. মাহাদী আমিন বলেন, আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি, আউটসোসিং কাজ করি, ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করি, সেই ইন্টারনেটের দাম বাড়ানো হয়েছে। আমরা আপরজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলি সেই, সেই মোবাইল বিল বাড়ানো হয়েছে। ভ্যাটের মাধ্যমে জনগণের উপর দাম বাড়ানোর বোঝা চাপানো হচ্ছে। যেগুলোর উপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, ভবিষ্যতে সেগুলোর দাম আরও বাড়বে। 

বিগত সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে ২৮ লাখ টাকা দুর্নীতি হয়ে বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। বিগত ১৬ বছরে অনেক দেশবিরোধী চুক্তি হয়েছে। পাঁচ কোটি টাকার প্রজেক্ট ৫০ কোটি টাকায় করা হয়েছে। মেগা প্রজেক্ট মেগা দুর্নীতি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে ড. মাহাদী আমিন বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের পাচার হওয়া ২৮ লাখ টাকার মধ্যে একটি টাকাও ফেরৎ আনতে পারেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়নি। কোথায়-কিভাবে দুর্নীতি হয়েছে তাও তদন্ত করা হয়নি। কোনো অপ্রয়োজনীয় কোনো প্রজেক্ট বন্ধ করা হয়নি। বরং ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। এর মাধ্যমে মজুরি বাড়বে, কল-কারখানায় প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বিদদে ফেলে দেবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশার বর্ণনা করে তিনি বলেন, আমাদের একটি প্রত্যাশা ছিল ফ্যাসিবাদের সময় যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলো থাকবে না। দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বাজারে যখন যাবো আমরা জিনিসপত্র কমদামে কিনতে পারবো। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজধানীতে বসে থাকা একটি সরকারের তাদের সঙ্গে তৃণমূলের জনগণের কোনো সম্পর্ক নাই। তাই তারা জানে না কেন জনগণের দুঃখ-কষ্ট বাড়ে। এই কারণে জনসম্পৃক্ত সরকার দরকার, যে সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে।

আরটিভি/কেএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission