চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে 'খুনি বলে সম্বোধন করার কয়েক দিনের মাথায় দু'জনের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটালেন একই দলের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সোমবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ১৭ মার্চ মুজিব নগর দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দ্বন্দ্বের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটে।
চট্টগ্রাম মহানগরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ৩ বারের মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছিরের বিবাদের ইতিহাস এক দশকের পুরনো। সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরের সরকার দলীয় দুই নেতা সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে দু'জনের সমালোচনার মুখে পড়ে।
গেলো সপ্তাহের সোমবার লালদীঘি মাঠে সমাবেশ থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরী তার সাধারণ সম্পাদক নাছিরকে ‘খুনি’ আখ্যায়িত করেন। তার অভিযোগ, নাছিরের তত্ত্বাবধানে ১২টি খুন হয়েছে। নাছিরকে ‘অথর্ব’ আখ্যায়িত করে তাকে মেয়র পদ থেকে অপসারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানোর কথাও মহিউদ্দিন বলেন।
এর পাল্টায় মেয়র নাছির, মহিউদ্দিনকে খুনের প্রমাণ দেয়ার আহ্বান জানান। মহিউদ্দিনের বক্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে উড়িয়ে দেন তিনি। এরপর গেলো মঙ্গলবার দুপুরে মহিউদ্দিন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, নাছিরের হাত দিয়ে মানুষ খুন হওয়ার প্রমাণ তার কাছে আছে।
মুজিব দিবস উপলক্ষ্যে এরই মধ্যে সোমবার বিকালে মুখোমুখি হন নগর আওয়ামীলীগের এই দুই নেতা। আলোচনা সভার সভাপত্বি করেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। আ জ ম নাছির বক্তব্যের শুরুতে নগর আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নাম নিয়ে মুজিব নগর সরকারের বর্ণনা দিলে সভাপতির বক্তব্য দিতে আসেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
বক্তব্যে তিনি বলেন, নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে নগরের সব সমস্য সমাধান করবে। বর্তমানেও ঐক্যবদ্ধ আছে এবং ভবিষতেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর নাছিরের নাম ধরে বলেন নাছির কাছে আসো! দুইজনের হাতে হাত ধরে মিলিত হয়ে চলতে থাকা দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে বলে ঘোষণা দেন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
এসজে