শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙনে গত দেড় মাসে প্রায় ৬০ পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে আরও শতাধিক পরিবারের।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত দেড় মাসে পূর্বনাওডোবা, জাজিরা, কুন্ডেরচর, বড়কান্দি ও বিলাসপুর ইউনিয়নে প্রায় ৬০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। তারা পরিবার নিয়ে অন্যত্র থাকছেন।
জানা যায়, শত বছরেরও বেশি সময় ধরে শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার মানুষের স্বপ্ন ভাঙছে পদ্মা। ২০১৮ সালে পদ্মার ভাঙন রোধে ডান তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আওতায় ১২ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকা সুরক্ষিত করায় তিন বছর যাবত ভাঙন আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেয়েছে নড়িয়াবাসি। কিন্তু এখনো জাজিরা উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী ১৬ কিলোমিটার এলাকা বাঁধের আওতায় না আসায় প্রতি বছরই ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন অংশ ভাঙছে। গত দেড় মাসে ওইসব এলাকায় ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে প্রায় ৬০ পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে আরও শতাধিক পরিবারের।
সাহেব আলী মোল্লা, করিম সরদার, কাদির ব্যাপারীসহ অন্যান্য ইউনিয়নের বাসিন্দারা আরটিভি নিউজকে বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না। আমরা ত্রাণ চাই না, স্লিপ চাই না, নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চাই।
জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম রফিকুল ইসলাম (রফিক মাস্টার) আরটিভি নিউজকে বলেন, গত কয়েক বছরের ভাঙনে আমার ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের ৮০ভাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ওয়ার্ডের পাতালিয়া কান্দি গ্রামের ১৩২ পরিবারের বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব আরটিভি নিউজকে বলেন, পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে পদ্মার ডান তীর জাজিরার ১৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধের আওতায় আনার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া জাজিরা উপজেলাসহ জেলার যেখানে ভাঙন দেখা গেছে, সেসব জায়গাগুলোতে ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম আরটিভি নিউজকে বলেন, পদ্মার ডানতীর রক্ষায় জাজিরা উপজেলায় ভাঙন রোধে ইমার্জেন্সি কাজ চলছে। নড়িয়া থেকে জাজিরা পদ্মা সেতু পর্যন্ত আমরা পর্যায়ক্রমে স্থায়ী বেড়িবাঁধ করব।
এসআর/