গাজীপুরে স্ত্রী-ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মফিজুল ইসলাম মফিজকে গ্রেপ্তার করেছে গাছা থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও নয়াটোলা আমবাগ এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাছা থানার এসআই শাহ ফরিদ জানান, রোববার রাতে স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে ঢাকায় চলে যান রিকশাচালক মফিজ। ছদ্মবেশ ধারণ করতে নিজের দাড়ি কেটে ফেলেন তিনি। ঘটনার পর থেকে গাছা থানা পুলিশের একটি দল ঢাকার তেজগাঁও, মহাখালীসহ বিভিন্ন এলাকার রিকশার গ্যারেজে নজরদারি শুরু করে।
একপর্যায়ে সোমবার রাত ১১টার দিকে তেজগাঁও নয়াটোলা আমবাগ এলাকার আক্তার হোসেনের রিকশার গ্যারেজ থেকে মফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মফিজকে গাজীপুরে নিয়ে আসা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (গাছা) আহসানুল হক বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে মফিজের প্রায়ই কলহ হতো। রোববার রাতে মফিজ একটি নতুন বটি কিনে আনেন। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বাইরে থেকে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদের সিটকিনি আটকে দেন তিনি। পরে রহিমা ও রোকনকে ওই বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যান। পালানোর সময় তার আট বছর বয়সী ছেলে আল-আমিন ঘটনাটি দেখে আশপাশের মানুষকে জানায়।
সোমবার দুপুরে নিহত রহিমা বেগমের বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে গাছা থানায় হত্যা মামলা করেন।