ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের মহেষখালী গ্রামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ওই গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তি হলেন, উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের মহেষখালী গ্রামের সিদ্দিকের মেয়ে রুমা আক্তার (১৪)। তিনি স্থানীয় মহেষখালী ফজর আলী দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জানা গেছে, রুমার মা নাজমা বেগমও প্রায় ১০ মাস আগে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। মৃত মায়ের শাড়ি গলায় পেঁচিয়েই এবার ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় রুমাকে।
নিহতের বাবা সিদ্দিক জানান, সকালে রুমার সৎ মাকে নিয়ে তিনি গজারিয়া বাজারে একটি কাজে যান। কাজ সেরে বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ এবং বড় মেয়ে ঝুমা বারান্দায় ঘুমাচ্ছে। এ সময় ঝুমাকে ডাকলে বারান্দার গ্রিলের দরজা খুলে দেয় সে। তবে মাঝঘরের দরজা বন্ধ থাকায় তারা ভেবেছিলেন, দরজা বন্ধ করে ঘুমাচ্ছে রুমা। তাই তাকে না ডেকে কাজের উদ্দেশে আবারও বেরিয়ে যান সিদ্দিক। পরে স্থানীয়দের কাছে তিনি জানতে পারেন রুমা গলায় ফাঁস দিয়েছে।
সিদ্দিক বলেন, রুমার মানসিক সমস্যাও ছিল। এ কারণে হয়তো সে গলায় ফাঁস দিয়েছে।
লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।